(বাঁ দিকে) সাদ্দামের বাড়ির সেই সুড়ঙ্গ। সাদ্দাম সর্দার (ডান ডিকে)। —নিজস্ব চিত্র
কুলতলির সেই সাদ্দামের বাড়ি থেকে এ বার অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁর পয়তারহাটের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়। তার আগে সাদ্দামকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে যে নতুন তথ্য উঠে আসে, তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অস্ত্রের পাশাপাশি কয়েকটি ধাতব মূর্তিও সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগে সম্প্রতি কুলতলির জালাবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের পয়তারহাটে সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সোনার মূর্তি দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। পুলিশ অভিযানে যেতেই সাদ্দামের বাড়ির পাশাপাশি পড়শি মহিলারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, তখন পুলিশ অফিসারদের মারধরও করা হয়। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি ছিল, গুলি কারও গায়ে না লাগলেও স্থানীয়দের মারধরে তিন জন পুলিশ অফিসার জখম হয়েছিলেন। সেই সুযোগেই পালিয়ে যান সাদ্দাম ও সাইরুল। এর পরেই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তল্লাশি চলে সাদ্দামের বাড়িতে। সেই সময় বাড়ির ভিতরে মেলে সুড়ঙ্গ। বাইরে থেকে গ্রিলের দরজা দেওয়া। দরজা খুলে ওই কংক্রিটের সুড়ঙ্গে নেমে পুলিশ দেখে, হাঁটুজল জমে আছে। সুড়ঙ্গটি শেষ হয়েছে পাশের খালে। সেই খাল আবার গিয়ে পড়েছে পাশের মাতলা নদীতে।
গত ১৭ জুলাই গভীর রাতে কুলতলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে বারুইপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাদ্দাম-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল-সহ আরও বেশ কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।