ডায়মন্ড হারবারে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন বলে পুলিশের দাবি। নিজস্ব চিত্র।
ডায়মন্ড হারবারের বস্ত্র ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার কিনারা করা গিয়েছে বলে দাবি করল ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। গত রবিবার চাঁদনগর এলাকার ঘোষপাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে মোস্তাক আহমেদ কুরেশি নামের ওই ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে আজারুল শেখ নামের এক ব্যক্তিকে মঙ্গলবার মহেশতলার মোল্লারগেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দাবি, কুরেশির সঙ্গে ছিটকাপড়ের ব্যবসা করত অভিযুক্ত। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই ওই খুন। জেরায় অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। বুধবার সন্ধ্যায় ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কুরেশি (৪০) ওরফে বাবলু মহেশতলা থানার ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিটকাপড়ের ব্যবসা করতেন। ধানক্ষেতে তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি মানিব্যাগ, একটি জামার পকেট, বোতাম এবং দু’জোড়া জুতো। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার ভোলানাথ পান্ডের নির্দেশে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও শান্তনু সেনের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল তৈরি হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে আজারুল শেখ নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর কথা জানতে পারে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে মহেশতলার ডাকঘর এলাকাতেই ভাড়া থাকত আজারুল। নিহত বাবলুর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবসা করত সে। খুনের দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’জনে ডায়মন্ড হারবারের দিকে এসেছিলেন। এর পরেই মহেশতলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। আজারুলের খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা। এমনকি আজারুল যাতে কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে না পারে সে জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুলিশের নারায়ণী ব্যাটালিয়ন, পাহাড়-জঙ্গলমহলেও নয়া বাহিনীর ঘোষণা মমতার
আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ৩ মাসেই, ঘোষণা মমতার
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার মহেশতলার মোল্লারগেট এলাকার মেনরোডের উপর থেকে আজারুল শেখ ধরা পড়ে। ধৃত আজারুলকে এ দিন দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে তাকে ১২ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বাবলুর সঙ্গে আজারুলের ব্যবসায়িক কারণে বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন দু’জনেই ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগর এলাকায় ছিট কাপড় কিনতে আসেন। সন্ধ্যা নাগাদ ধানক্ষেতের পাশে বাবলুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আজারুল। এ দিন সন্ধ্যায় আজারুলকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজের পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।