Gaighata

ক্রাইম সিরিয়াল দেখে খুনের ছক কষে সুজিত

পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে দা দিয়ে গলার নলিও কেটে দেওয়া হয়। এরপরে প্রায় ৫০ মিটার টেনে নিয়ে গিয়ে সুজিতের ঘরে দেহ ঢোকানো হয়।পুঁতে ফেলা হয় মাটির মেঝেতে। উপরে বিছিয়ে দেওয়া হয় খাট। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২২
Share:

স্বপ্না সরকার ও সুজিত দাস। ফাইল চিত্র।

রামকৃষ্ণকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলার ছক কষেছিল সুজিত। দেহ লোপাট করার এই ফন্দি টিভিতে ক্রাইম সিরিয়াল দেখেই মাথায় এসেছিল বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ। দেহ টুকরো করার জন্য বনগাঁর মিলনপল্লি এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে চপার কিনেছিল সুজিত, এ কথাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, যখন থেকে রামকৃষ্ণ সরকারকে মারার পরিকল্পনা করে রামকৃষ্ণর স্ত্রী আর তার প্রেমিক সুজিত দাস— তখন থেকেই টিভিতে ক্রাইম সিরিয়াল দেখায় মন দিয়েছিল সুজিত। পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি ধারাবাহিকে সে দেখেছিল, খুনের পরে দেহ খণ্ড খণ্ড করে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে নিহতের পরিচয় উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, বিষয়টা মনে ধরেছিল সুজিতের। স্বপ্নার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, এ ভাবেই রামকৃষ্ণের দেহ কেটে টুকরো করে ছড়িয়ে দেবে তারা। চপার ও কাটারি কিনে আনে। তবে পরিকল্পনা পুরোপুরি কাজে আসেনি। কেন? গাইঘাটার গোয়ালবাথান এলাকায় সুজিতের বাড়ির পাশেই মদ্যপ রামকৃষ্ণকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাথায় লাঠির ঘা মেরে সুজিত খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে দা দিয়ে গলার নলিও কেটে দেওয়া হয়। এরপরে প্রায় ৫০ মিটার টেনে নিয়ে গিয়ে সুজিতের ঘরে দেহ ঢোকানো হয়। পুঁতে ফেলা মাটির হয় মেঝেতে। উপরে বিছিয়ে দেওয়া হয় খাট।

সোমবার রাতে ওই ঘটনার পরে বুধবারই প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে খবর দেন পুলিশকে। ধরা পড়ে যায় সুজিত-স্বপ্না। ফলে চপার, কাটারি ব্যবহারের সুযোগ পায়নি তারা, জানাচ্ছেন এক তদন্তকারী অফিসার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement