প্রতিবাদীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
তোলাবাজির টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি এবং মারধরের অভিযোগ। প্রতিবাদে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ, পথ অবরোধ ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ পুলিশের। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার সূর্যপুর হাটে।
তোলাবাজির টাকা না পাওয়ায় হাটের ব্যবসায়ীদের হুমকি ও মারধর করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কয়েক জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর-কুলপি রোড অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। সেই সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভা করার কথা ছিল। পুলিশের আবেদনে তাঁরা সেই সভা বাতিল করেন। কিন্তু সকালেই আবার শুরু হয়ে যায় তোলাবাজদের দাপট। ব্যবসায়ীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা।
হাটের ব্যবসায়ী রবিন লস্কর বলেন, ‘‘প্রত্যেক দিন তোলাবাজি করতে আসে। আমরা দিইনি বলে খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ওদের সঙ্গে বোমা, বন্দুক ছিল। আমাকে মারধর করল। ওরা প্রায় ১৫-১৬ জন এসেছিল। ওদের জন্য হাটে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’ আর এক ব্যবসায়ী আবদুল্লা পুরকাইত বলেন, ‘‘ওদের তোলা তুলতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই আমাকে অ্যাটাক করেছে। ঘটনার পিছনে ধপধপি ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, শঙ্করপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির যোগ আছে। এলাকার দুই ব্যবসায়ীও দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যুক্ত। আমরা সাড়ে চারশো দোকানদার সবাই তৃণমূল করি। আমরা চাই তোলাবাজি এবং দুর্নীতি বন্ধ হোক।’’
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক মদতের প্রসঙ্গে ধপধপি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর নস্কর বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অন্যায় অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।