দীর্ঘ ৪২ দিন কারাবাসের গত শনিবার মুক্তি পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। ফাইল চিত্র।
ফুরফুরা শরিফে নেতাদের পাঠিয়েও কোনও ফল হবে না। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এমনটাই বললেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। ঠিক তার এক দিন আগে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং হুগলি জেলা তৃণমূলের নেতা তথা আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ফিরহাদের হাত থেকে তপনের হাতে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বুধবার রাতে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, “যে কেউ ফুরফুরা শরিফে আসতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক জমি ফেরাতে আসতে চান, তা হলে আমি বলব, এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। শাসকদলের প্রকৃত চেহারা মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে।”
নওশাদের কথায়, “রাজ্যের পরিস্থিতি কী, তা সাধারণ মানুষ জানেন। তাই ভোট হলে মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বার বার সাগরদিঘির মতো ঘটনা ঘটাবেন।” এমন কথা বলে কার্যত শাসকদলের জনভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ধর্মতলায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার হন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ। দীর্ঘ ৪২ দিন কারাবাসের গত শনিবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে যে দিন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়, সে দিনই জামিন পান নওশাদ। তাঁর জামিনের খবরের পরেই আসে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পরাজয় এবং কংগ্রেসের জয়ের খবর। সেখানে তৃণমূলের পরাজয়কে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেছেন নওশাদ। শনিবার নওশাদের মুক্তির পর দিন রবিবার ফুরফুরা শরিফে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু সাক্ষাৎ না পেয়ে তাঁকে নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি ফিরহাদ এবং তপন ফুরফুরা শরিফে গিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।