শব্দ মাত্রা ছাড়ালে শাস্তি পুজোর পরেও

পুজোর ক’টা দিন এলাকার অনেক প্যান্ডেলেই শব্দের দাপট মাত্রা ছাড়ায় বলে অভিযোগ। বিশেষ করে ডিজে বক্সের দাপটে কান ঝালাপালা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজোর কটা দিন শব্দ তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে কড়া হচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি এলাকার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে জয়নগর থানার পুলিশ। সেখানে পুজোয় শব্দবিধি নিয়ে সতর্ক করা হয় সকলকে। বিধি লঙ্ঘন করলে পুজো শেষেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। বাতিল হতে পারে পরের বছরের পুজোর অনুমতিও।

Advertisement

পুজোর ক’টা দিন এলাকার অনেক প্যান্ডেলেই শব্দের দাপট মাত্রা ছাড়ায় বলে অভিযোগ। বিশেষ করে ডিজে বক্সের দাপটে কান ঝালাপালা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত বছর ডিজে বক্সের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জয়নগর থানা। পুজো বা বিসর্জনে ডিজে বাজানো হবে না বলে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল পুজো কমিটিগুলিকে দিয়ে। তবে তারপরেও বহু জায়গায় শব্দের তাণ্ডবে রাশ টানা যায়নি বলে অভিযোগ। নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে সে ভাবে শাস্তিও কিছু হয়নি। ফলে সতর্ক হয়নি পুজো কমিটিগুলি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এ বার শব্দযন্ত্রণা ভোগ করার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এ বার শব্দসীমা লঙ্ঘন করলে শাস্তি হবে। এমনকী, পুজো শেষের পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, ডিজে বক্সের মতো যে সমস্ত সাউন্ড বক্স শব্দমাত্রার নিরিখে নিষিদ্ধ, সেগুলি বাজালে পুজো কমিটির পাশাপাশি শাস্তি হবে সরবরাহকারী সংস্থা বা ব্যক্তিরও। বাজেয়াপ্ত করা হবে সেই সব বক্স।

Advertisement

জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ যাতে সুন্দর ভাবে উৎসব উপভোগ করতে পারেন, আমাদের সকলকে সেই চেষ্টা করতে হবে। সে জন্য পরিবেশ সুন্দর রাখা দরকার। নিয়ম ভাঙলে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। সে ক্ষেত্রে পুজো মিটে গেলেও কিন্তু ব্যাপারটা চাপা পড়ে যাবে না। দরকার হলে পুজোর পরেও আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। বিশেষ করে মাইক ব্যবসায়ীরা যদি প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম না মানেন, তা হলে পুজোর পরে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনেই এগোনোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন বহরু এলাকার একটি বড় পুজো কমিটির কর্তা পল্লব দাস। বলেন, ‘‘পুলিশ সতর্ক করেছে। নিয়ম মেনেই আমরা পুজো করব। মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই বক্স বাজানো হয়। এ বারও সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা হবে।’’

দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা চন্দন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘উৎসবের পরিবেশে গান-বাজনা হলে ভালই লাগে। কিন্তু ইদানীং ব্যাপারটা মাত্রা ছাড়াচ্ছে। গত বছরও বহু পুজোয় মাত্রাছাড়া শব্দে বক্স বেজেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement