টহল: দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
সামনে ছিল মোটরচালিত একটি সাইকেল ভ্যান (ভ্যানো)। সেটিকে পাশ কাটাতে গিয়েই ইট বোঝাই লরির সামনে পড়ে যায় যাত্রী বোঝাই মারুতি গাড়িটি। এর পরেই লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় সেটি রাস্তার বাঁ দিকে শুকনো নয়ানজুলিতে পড়ে উল্টে যায়। এ দিকে, ব্রেক কষলেও ইট ভর্তি থাকায় লরিচালকও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। পাল্টি খেয়ে লরিটি পড়ে মারুতির উপরে। রবিবার এ ভাবেই পিষ্ট হন মারুতিতে থাকা ন’জন যাত্রী। মৃত্যু হয় এক শিশু-সহ পাঁচ জনের। গুরুতর জখম আর একটি শিশু এবং তিন মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা-বাদুড়িয়া রোডের পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার এমনই জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন লরির মালিক, বসিরহাটের বাসিন্দা মহম্মদ কুতুবউদ্দিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে লরিচালক পলাতক। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (ট্র্যাফিক) হুমায়ুন কবীর-সহ পুলিশকর্তারা। গাড়ি দু’টি পরীক্ষা করার পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিনও অভিযোগ করেছেন, বেআইনি ভ্যানোর অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের জন্য ওই রাস্তায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
তবে তদন্তের পরে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে লরিটির কোনও দোষ ছিল না বলেই মনে হচ্ছে। উল্টো দিক থেকে যে লরিটি আসছে, তা না দেখেই মারুতির চালক ভ্যানোটিকে পাশ কাটাতে গিয়েছিলেন। যার ফলে ঘটে বিপত্তি। তবে লরিচালকের খোঁজ মিললেই পুরো ঘটনা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবারের ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এ দিন তাঁকে বারাসত হাসপাতাল থেকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।