বিহারি নিজেই রিভলভার থেকে গুলি চালিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
কোন শত্রুতার জন্য আশুকে খুন করতে গিয়েছিল বিহারি আর তার বাহিনী, তা নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।
বুধবার রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন নৈহাটির হাজিনগরের বাসিন্দা আশু তিওয়ারির বাবা অমরনাথ। আশুকে আক্রমণ করতেই দাগি দুষ্কৃতী বিহারি দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়েছিল বলে আশুর দাবি। তাঁর উপরে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় বুধবার স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিক অভিযোগও জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। রাতেই অবশ্য হামলা চলে তাঁর বাড়িতে। দুই ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যায় অমরনাথের। বিহারি নিজেই রিভলভার থেকে গুলি চালিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আশুর সঙ্গে বিহারির গোলমাল কি নিয়ে, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগে আশুকে বিহারির সঙ্গেই ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। কিন্তু কিছু দিন ধরে দু’জনের দূরত্ব বাড়ে।
আশুর সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারির দলের এক যুবক সম্প্রতি হাজিনগরের এক তরুণীকে বিয়ে করে। বিষয়টি পছন্দ ছিল না বিহারির। কিন্তু আশু-সহ কয়েক জন যুবকের মত ছিল সেই বিয়েতে। এ জন্য বিহারির বিরাগভাজন হয়েছিলেন আশু। এরই মধ্যে বিহারির এক সাগরেদকে মারধরে নাম জড়ায় আশুর।
এ দিকে, খুনের ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা বিহারির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে এলাকার ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের থেকে তোলাবাজি চালায় বিহারি। টাকা না পেলে কাউকে কাউকে এর আগে মারধরও করেছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে। আগে জেলও খেটেছে বিহারি। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে ফের অশান্তি পাকাতে শুরু করে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, বিহারি নিজের রিভলভার থেকে গুলি ছুড়েছিল। সে মত্ত ছিল।’’ ডিসি জানিয়েছেন, বিহারি-সহ যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে, সকলেই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।