নওশাদ সিদ্দিকি। ফাইল চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ভাঙড়ের ভাড়া বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে, পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হল বোমা। অভিযোগ, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরে হামলা চালাতেই বোমা মজুত করেছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার মাঝেরাইট গ্রাম থেকে দু’টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে মাঝেরাইট গ্রামে আসেন নওশাদ। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, নওশাদকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় বাড়ির মালিককে শাসকদলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। সে কথা অবশ্য আগেই অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূল নেতারা।
বুধবার রাতে ওই ভাড়া বাড়িতেই ছিলেন নওশাদ। গভীর রাতে এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তৃণমূলের লোকজন হামলার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ আইএসএফ নেতৃত্বের। যদিও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়িতে জেনারেটরের আলো জ্বলে। পুলিশের টহলদারিও ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোরে ওই বাড়ির অদূরে দু’টি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ আসে। তারা বোমা দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আইএসএফের অভিযোগ, এর আগেও বিধায়ক ভাঙড় থানায় এলে তাঁর গাড়ির উপরে হামলা চালিয়েছিল শাসকদল। এদিনও তৃণমূলের লোকজন নওশাদের উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।
নওশাদ বলেন, ‘‘শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা সমাজবিরোধীরা হামলা চালাতে ছক কষেছিল। আমি আতঙ্কে আছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি দেখছে।’’
তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের দলীয় কর্মীদের ফাঁসাতে পরিকল্পনা করে এ সব করেছে। এলাকা উত্তপ্ত করার জন্য এবং মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চায় ওরা, সে জন্যই এ সব করছে।’’