প্রতীকী ছবি।
এক ব্যবসায়ীর খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁর বন্ধুদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
বারুইপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, সোমবার সেখানকার আখনা গ্রাম থেকে প্রসেনজিৎ রায় (৩৪) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নলি কাটা অবস্থায় মৃতদেহটি মেলে। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে প্রসেনজিৎকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বন্ধুরাই ঘটনায় জড়িত বলে প্রমাণ পায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সুজিত হালদার, রানা দাস, সায়ন মিস্ত্রি ও পঙ্কজ মণ্ডল নামে প্রসেনজিতের চার বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, তুষার হালদার নামে প্রসেনজিতের এক বন্ধু ওই ঘটনায় জড়িত জানতে পারার পরে তার বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় মানুষ। তুষারকেও মারধর করা হয়। সে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তুষারই ঘটনার মূল চক্রী বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, সোনারপুর থানার সুভাষগ্রামের নতুনপল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পিভিসি দরজার ব্যবসায়ী ছিলেন। অল্প সময়ে তিনি ব্যবসায় খুবই উন্নতি করেছিলেন। তাতেই তিনি বন্ধুদের ঈর্ষার কারণ হয়ে ওঠেন। তার জেরেই খুন হন প্রসেনজিৎ। তদন্তকারীরা জানান, রবিবার অভিযুক্তেরা প্রসেনজিৎকে নিয়ে বারুইপুরের আখনা গ্রামে পিকনিক করতে যায়।
তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, প্রসেনজিৎকে বিকেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেননি।
তাঁর এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘চার বন্ধু বাড়ি ফিরে এসেছিল। কিন্তু প্রসেনজিৎ ফেরেনি। ফলে তার খোঁজ শুরু হয়।’’
পুলিশ জানায়, খুনের প্রধান চক্রী তুষার প্রসেনজিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। দু’জনেই একই সময়ে ব্যবসা শুরু করলেও প্রসেনজিৎ ব্যবসায় উন্নতি করেন। সোমবার তুষারকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আখনা গ্রামে পিকনিকের বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে।
সেখানকার ঝিলপাড় থেকে শেষ পর্যন্ত প্রসেনজিতের দেহ মেলে। পুলিশের অনুমান, সেখানেই নলি কেটে ফেলে দেওয়া হয় প্রসেনজিৎকে।