Acid Attack

Acid attack: অ্যাসিড-হামলায় আক্রান্ত কিশোরী, গ্রেফতার যুবক

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত যুবক হামলার কথা স্বীকার করেছে। কোথা থেকে সে অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

ধৃত: অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ এর বিরুদ্ধেই।

পড়শি দুই পরিবারের বিবাদের জেরে চোদ্দো বছরের এক কিশোরীর উপরে অ্যাসিড-হামলার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোবরডাঙা থানার মছলন্দপুরে। কিশোরীর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অ্যাসিড-হামলার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ধৃত যুবককে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মছলন্দপুরে দু’টি পরিবারের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। ধৃত যুবকের দিদির অভিযোগ, শুক্রবার সকালে আচমকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয়। গলা টিপে ধরা হয়। শ্লীলতাহানি করা হয়। তিনি জ্ঞান হারান।

Advertisement

দিদিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে ভাই। অভিযোগ, তাঁকেও বাঁশ দিয়ে মারা হয়। এই ঘটনায় তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কিশোরীর পরিবারের এক জনকে গ্রেফতার করে।

তখনকার মতো গোলমাল মিটে গিয়েছিল। অভিযোগ, রাত ৮টা নাগাদ মেয়েটি প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ, প্রতিবেশী পরিবারের যুবক তাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে। জখম মেয়েটিকে বাউগাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত যুবক হামলার কথা স্বীকার করেছে। কোথা থেকে সে অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

দিন কয়েক আগে অশোকনগরে বাড়ির সামনে মদ বিক্রির প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে অ্যাসিড ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এ বার গোবরডাঙার ঘটনা ঘটল। সহজেই বাজারে অ্যাসিড কেনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাসিড বিক্রেতার নির্দিষ্ট লাইসেন্স থাকতে হয়। কেনাবেচার হিসেব রাখতে হয়। ক্রেতার নাম-পরিচয় লিখে রেখে, তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে রাখতে হয়। অ্যাসিড কিনতে হলে ক্রেতার পরিচয়পত্রও দেখতে হবে দোকানিকে। কী উদ্দেশ্যে ক্রেতা অ্যাসিড কিনছেন, তা-ও লিখে রাখার কথা। কিন্তু সে সব নিয়মকানুন মানা হয় না বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক নজরদারিও তেমন নেই বলে অভিযোগ। এর ফলে অ্যাসিডের যথেচ্ছ বিক্রি বন্ধ
করা যায়নি। অতীতে দেশ জুড়ে অবাধে অ্যাসিড বিক্রি বন্ধের ডাক দিয়েছেন অ্যাসিড-হামলায় আক্রান্তদের ‘লড়াইয়ের মুখ’ লক্ষ্মী অগ্রবাল। তিনি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির খুব বদল হয়নি।

বনগাঁ, বারাসত, বসিরহাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনেই অনেকে অ্যাসিড বিক্রি করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে নিয়মকানুন নিয়ে সচেতনতাও নেই। দোকানিদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা অনেকেই জানালেন, এত সব নিয়ম আছে, তা জানেনই না। গ্রামীণ এলাকায় মুদির দোকান, মনোহারি জিনিসের দোকান বা হার্ডওয়্যার দোকানে অ্যাসিড বিক্রি হতে দেখা যায়। মূলত মিউরেটিক, কার্বোলিক অ্যাসিড বিক্রি হয় এ সব জায়গা থেকে।

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বেআইনি ভাবে অ্যাসিড বিক্রির বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়। এনফোর্সমেন্ট বিভাগগুলি এ বিষয়ে কাজ করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement