জখম: নাক ফেটেছে দিলীপের। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল গ্রামবাসী। কর্মসূচি চলাকালীন এক বিজেপি নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতে। প্রহৃত বিজেপি নেতার নাম দিলীপকুমার বৈদ্য। তাঁকে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের ৩২ ও ৩৩ নম্বর বুথের বামনডাঙা এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, প্রকৃত গরিব মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ, পাকাবাড়ির মালিকদের নাম তালিকায় আছে।
বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির হাবড়া ২ ব্লকের বিজেপি নেতা দিলীপ। অভিযোগ, তিনি মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা হয়। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, “৩২ ও ৩৩ নম্বর বুথে আবাস যোজনার তালিকায় প্রথমে ১৫৪ জনের নাম ছিল। আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, পুলিশ ও বিডিও অফিসের কর্মকর্তারা সমীক্ষা করেন। এখন ১৪ জনের নাম তালিকায় আছে। এই কাজ পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সদস্য করেননি। আমরা গ্রামবাসীদের বলেছি, আবেদন করতে। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না তা দেখব।” দিলীপের কথায়, “গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে আমরাও গিয়েছিলাম। কত লোকজন হয়েছে, তার ভিডিয়ো করেছিলাম। হঠাৎ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে মারতে শুরু করে।” বৃন্দাবন বলেন, “আজ যাঁরা এসেছিলেন, সকলেই তৃণমূল করেন। বিজেপি নেতা ছবি তুলছিলেন। তা নিয়ে গ্রামবাসীরা আপত্তি তোলেন। বচসা হয়। ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।”