মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এ বার ‘পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। — ফাইল চিত্র।
গত দু’বছরে অতিমারির কারণে তেমন ভিড় হয়নি গঙ্গাসাগর মেলায়। তাই, এ বছর মেলায় অনেক বেশি তীর্যযাত্রীর আসার সম্ভবনা রয়েছে। তা নজরে রেখে নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এ বার ‘পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের গাড়ির অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সরাসরি পৌঁছে যাবে কন্ট্রোল রুমে। যার ফলে সহজেই মেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মেলার সঙ্গে যুক্ত পরিবহণ অর্থাৎ বাস, অ্যাম্বুল্যান্স, ভেসেল এবং লঞ্চে লাগানো থাকবে ‘জিপিএস ট্র্যাকার মেশিন’। যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে বসেই অনায়াসে বাস কিংবা লঞ্চের অবস্থান জানা যাবে। প্রায় ২৩০টি বাস, ৮০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৭০টি ভেসেল ও ৮০টি লঞ্চে লাগানো থাকবে ওই যন্ত্র। অনেক সময় দেখা যায়, জলপথে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাই, যে কোনও পরিস্থিতিতেই লঞ্চ কিংবা ভেসেলে জিপিএস ট্র্যাকার মেশিন কাজ করার জন্য বিশেষ ‘ভিটিএমস’ সিম রাখা হচ্ছে। যাতে ‘টুজি’ ইন্টারনেট পরিষেবাতেও তা কাজ করতে সক্ষম হয়। অন্য দিকে, মেলায় আগত তীর্থযাত্রীর ভিড় কিংবা জটলাও কন্ট্রোল রুম থেকে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সেই জন্য ‘বায়ো ফেন্সিং’ ব্যবস্থাও চালু করছে প্রশাসন। যার ফলে মেলার সময় ভেসেল ঘাট কিংবা কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় মোট যাত্রীর সংখ্যাও অনুমান করে বলে দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কলকাতার বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অ্যাডিশনাল ডেপুটি কালেক্টর (এডিসি) ঋত্বিক হাজরা বলেন, ‘‘সাগর মেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এই ব্যবস্থাপনার আরও উন্নতি সাধন হয়েছে। জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের অবস্থান ও ভিড় সম্পর্কে তথ্য সব সময়ই কন্ট্রোল রুমের হাতে থাকবে।’’