•তুমি-আসবে-বলে: জনসভার প্রস্তুতি চলছে। ছবি: দিলীপ নস্কর
পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পরে ফের মাঠে নেমে জনসভা করতে শুরু করছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ২ এপ্রিল ডায়মন্ড হারবার এসডিও মাঠে সভা করতে আসার কথা রয়েছে তাঁর। সেই সভার প্রস্তুতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলে এখন সাজ সাজ রব। বড় রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে বড়ো বড়ো কাট আউট, পোস্টার। তৈরি হয়েছে তোরণ। যুব সভাপতির সভা সফল করার জন্য যে ভাবে প্রচার চলছে, সেটি সাম্প্রতিক অতীতে ওই জেলায় তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
ডায়মন্ড হারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র। তাই এই সভা অভিষেকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, বজবজ, মহেশতলা, গার্ডেনরিচ, ফলতা ও ডায়মন্ড হারবার— এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই কমবেশি গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। কিন্তু সেই কোন্দল যাতে ২ এপ্রিলের সভায় প্রভাব না ফেলে, সে জন্য জেলা নেতাদের সতর্ক নজর রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নারদ ফুটেজ নিয়ে উচ্চ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশ ভোটে ভাল ফলের পরে এই রাজ্যেও সংগঠন বাড়াতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেকের সভা ঘিরে নিজেদের আরও সংগঠিত করতে চাইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। সেই কথাই উঠে এসেছে ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েনের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা সকলেই তৃণমূল কর্মী। আমাদের এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়েই লড়তে হবে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা জানান, সভা শুরুর আগে পর্যন্ত প্রচার চলবে। সভার দিন যাঁরা মাঠে ভিড়ের চাপে ঢুকতে পারবেন না, তাঁদের জন্য জায়েন্ট স্ক্রিনেরও
ব্যবস্থা থাকবে।