ঘোজাডাঙা সীমান্তে অপেক্ষারত ট্রাক। —ছবি সংগৃহীত।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে ভারতের সঙ্গে ওই দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য। এই দেশের অন্যতম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙা দিয়ে গত কয়েকদিনে দু'দেশের মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল অনেকটাই কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ভিসা না পাওয়ায় দু’দেশের মধ্যে পর্যটকদের যাওয়া আসাও কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। এ সবের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, "বাংলাদেশের অশান্তির পাশাপাশি ডলারের দাম পড়ে যাওয়ার ফলে আমদানি ও রফতানির বড় ক্ষতি হচ্ছে।" সঞ্জীব জানান, কিছু দিন আগেও প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ লরি ভারত থেকে বাংলাদেশে যেত। তা এখন কমে ১৫০-২০০ হয়েছে।শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক গন্ডগোলের জেরে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত কমেছে। তার ফলেই কার্যত জনমানব শূন্য হয়ে গিয়েছে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দর। আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ যাতায়াত করতেন, এখন গড়ে একশোর কিছু বেশি মানুষ যাতায়াত করছেন।
শুক্রবার ঘোজাডাঙায় আসা বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা মোহম্মদ সাবির ইকবাল বলেন, "ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। ভিসার জন্য মানুষ আসতে পারছেন না। বাংলাদেশে একটা নাটক চলছে। আমি চিকিৎসার জন্য অনেকদিন আগে ভিসার আবেদন করেছিলাম। অনেক ছোটাছুটি করে ভিসা পেয়েছি। তাই ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছি।"
ট্রাক চালক সুরজ যাদব, ইয়ামিন মোল্লারা বলেন, "বাংলাদেশে ডলার পরে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ওই দেশে মালপত্র পাঠাচ্ছেন না। পাশাপাশি গন্ডগোলের জন্য ভিসা মিলছে না। আমরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছি। ট্রাক চালিয়ে যে উপার্জন হত, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন সংসার চালানো আমাদের খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।"
স্থলবন্দরে আসা বাংলাদেশের বাসিন্দা রতন মণ্ডল, ফজের আলিরা বলেন, "ঢাকাতে গন্ডগোলের কথা শুনেছি। তবে আমাদের এলাকায় এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গোলমাল এড়াতে এলাকায় রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সম্প্রীতি যেন দুষ্কৃতীরা নষ্ট করতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।"