বেলাগাম: ফের একই দৃশ্য।— ছবি: সুজিত দুয়ারি
তিন দিন পরে এলাকার বাজারগুলি খুলতেই হুড়মুড়িয়ে পথে বেরিয়ে পড়লেন লোকজন। সাইকেল ভ্যান, বাইক, টোটো দাপিয়ে বেড়াল শহরের পথে পথে। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই একটি ভ্যানে পাশাপাশি চারজন বসলেন। বাইকে তিনজন। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্য ছিল অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায়।
এ দিন সকাল থেকে শহরের রাস্তায় পুলিশের ধরপাকড় ছিল। মাস্ক না পরে পথে বের হওয়া এবং লকডাউন উপেক্ষা করে অকারণে ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। অশোকনগর থানা এলাকার এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এবং ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতি তিন দিনের জন্য সমস্ত বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পুরসভা এলাকায় বাজারগুলি বন্ধই ছিল। এই তিনদিন মানুষকে পথে বেরোতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ, পুরসভা এবং বাজার কমিটিগুলি পদক্ষেপ করেছিল। বুধবার বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট সকলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বাজারগুলিতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্ক ছাড়া বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পুলিশ জানিয়েছে, মাস্ক ছাড়া পথে বের হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বৃহস্পতিবার বাজারগুলি আসা ক্রেতা বিক্রেতারা মাস্ক পরেছিলেন। তবে বাজার থেকে বেরিয়ে অনেকেই মাস্ক খুলে দেন। বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। গোলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গুপি মজুমদার বলেন, ‘‘পুরসভার যে সব বাজারগুলি ঘেরা জায়গার মধ্যে রয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যায়ক্রমে ক্রেতাদের বাজারের মধ্যে ঢোকানো হয়েছে। গোলবাজারে ২০ জন করে ক্রেতাকে ঢোকানো হয়।’’
এ দিন সকাল থেকে পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার, কাউন্সিলর, ওসি অয়ন চক্রবর্তী বাজার সমিতির প্রতিনিধিরা এলাকায় ঘুরে নজরদারি চালান। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এ দিন রাস্তায় মানুষের আনাগোনা দেখে মনে হয়েছে মানুষ পুরোপুরি সচেতন হননি।’’ পুরপ্রধান বলেন, ‘‘বাজারগুলির মধ্যে ভিড় কম ছিল। নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। মানুষ অনেকটাই লকডাউন মানছেন। তবে কড়া নজরদারি রাখতে হবে।’’