একটি সোনার দোকানে ধনতেরস উপলক্ষে পছন্দের গয়না কেনা। শুক্রবার, বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বছর পনেরো আগেও বাঙালি কালী পুজোর আগের রাতে, ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দো শাক খাওয়া ও চোদ্দো প্রদীপ দেওয়ার বাইরে আর তেমন বিশেষ কোনও রীতি পালন করত না। কী করে যেন গত কয়েক বছরে বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে পুজোর অমবস্যার আগে ত্রয়োদশী উদ্যাপন। অনেকের বিশ্বাস, ধনতেরসের এই তিথিতে ধাতু কিনলে তা সারা বছর সমৃদ্ধ রাখে গোটা পরিবারকে।
বনগাঁ শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী কল্যাণ তারণ বলেন, “অন্য বছরের তুলনায় এ বার ধনতেরসে সোনার গয়না কেনাকাটার বাজার ভালই।” শুক্রবার, ধনতেরসের দিন এবং তার কিছু আগে থেকেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা শহরে মাইক লাগিয়ে প্রচার করেছিলেন। ঘোষণা করা হয়েছিল, কেনাকাটার উপরে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। সোনার দোকানের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো এক মহিলার কথায়, “শুনেছি ধনতেরসে সোনার গয়না কেনা
শুভ। তা ছাড়া, দামও এ বার তুলনায় কম।”
বসিরহাট শহরের বিভিন্ন সোনার দোকানে ভিড় শুরু হয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। কয়েকটি বড় দোকান সূত্রের খবর, ধনতেরসের অফার চলছে কিছু দিন আগে থেকে। ক্রেতারা মূলত হালকা সোনার গয়না খুঁজছেন। অনেকে সোনার কয়েন কিনছেন। সব মিলিয়ে বিক্রি নিয়ে খুশি বসিরহাট ব্যবসায়ীরা।
ডায়মন্ড হারবারেও সোনা দোকানগুলিতে ভিড় দেখা গেল। এক ক্রেতা বলেন, “শুনেছি আজকের দিনে সোনা কিনলে লক্ষ্মীলাভ হয়। তাই সামান্য হলেও কিছু কিনব বলে ঠিক করেছি।” ওই দোকানের কর্মী রানা সিংহ জানান, গত বছরের তুলনায় কেনাকাটা বেড়েছে।
হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগর, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ ব্লকের সোনার দোকানগুলিতে অবশ্য ধনতেরসে কেনাকাটার তেমন উন্মাদনা চোখে পড়েনি। হিঙ্গলগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস বলেন, “এই চল খুব একটা নেই গ্রামে। তবে কেউ কেউ রুপোর গয়না কিনছেন। যাঁদের সোনা কেনার সামর্থ্য আছে, তাঁরা শহরের বড় ব্র্যান্ডের শোরুমে যেতেই আগ্রহী।”