তখনও চলছে রেল অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
রেললাইন পারাপারের রাস্তায় বেড়া দেওয়ার প্রতিবাদে বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথের দত্তপুকুরে রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছুটা পর থেকে অবরোধ শুরু হয় ওই রেলপথে। তার জেরে ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। রেলপুলিশের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে লাইন থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে বেলার দিকে উঠে যায় অবরোধ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছুটা পর থেকে দত্তপুকুর স্টেশনে শুরু হয় রেল অবরোধ। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেড়া দিয়েছে রেল। আর তার জেরে সমস্যায় পড়ছেন আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, এ ভাবে বেড়া দেওয়া হলে অসুবিধা হচ্ছে যাতায়াতে। ওই বেড়ার কিছু অংশ খোলা রাখার দাবি করেছেন তাঁরা। অবরোধের জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সাধন মিত্র নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘এখানে সাবওয়ে নেই কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে। এই পয়েন্টটা খোলাই থাকে। এখান দিয়ে ১৪টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু এখন বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা এই রাস্তা খোলা রাখার দাবিতে অবরোধ করেছি। এটা না খোলা রাখলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’ শেষ পর্যন্ত বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ উঠে যায় অবরোধ।
আন্দোলনের জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। ওই রেলপথের বেশ কয়েকটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। কণিকা দাস নামে এক নিত্যযাত্রীর কথায়, ‘‘ঘণ্টাখানেক আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তার জেরে কাজে যাওয়া এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি রাঁধুনি। যাঁদের জন্য রান্না করি, তাঁরা অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাঁরা এত ক্ষণ হয়তো না খেয়েই রয়েছেন।’’
রেল অবরোধ নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেল বনগাঁ শাখায় বেড়া দেওয়ার কাজ করছে। লোকাল ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালাতে গেলে ওই বেড়া অত্যন্ত জরুরি। বন্দে ভারতের মতো ট্রেন বেড়া না থাকার কারণে বার বার বিপদের মুখে পড়ছে। অত দামি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানেও ট্রেন নির্বিঘ্নে চালাতে গেলে বেড়া দেওয়া প্রয়োজন। ওই বেড়া দেওয়ার কাজে স্থানীয়রা বাধা দিয়ে রেল অবরোধ করেছেন দত্তপুকুরে। আমাদের আধিকারিকরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।’’