ভোটার পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ফর্ম পূরণের কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সংশোধন কর্মসূচির পরেও ভোটার পরিচয়পত্রে নামের বানান, ঠিকানায় ভুল থেকে গিয়েছে অনেকের। যার জেরে আবারও ফর্ম ফিলাপের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে মানুষকে। ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা-সহ জেলার বহু জায়গাতেই চোখে পড়ছে এই ছবি। প্রশাসনিক গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অনলাইনে ইলেক্টরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম (ইভিপি) বা নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি নেওয়া হয়। ভোটার কার্ডে নাম, ঠিকানা, বয়সের ভুল সংশোধনের জন্যই মূলত এই কর্মসূচি। অনলাইনে ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টাল বা মোবাইলে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপের মাধ্যমে ভোটার তালিকা ও সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র সংশোধন শুরু হয়। বহু মানুষ ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য বিভিন্ন তথ্যমিত্র কেন্দ্রে ভিড় জমান। সাইবার ক্যাফেতেও লাইন পড়ে। এরপরেও যাদের সংশোধনের কাজ বাকি থেকে যায় তাদের জন্য ব্লক দফতরে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে গিয়ে পরিচয়পত্র সংশোধন করেন অনেকে। তারপরেও যাঁদের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব হয়নি তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লক লেভেল অফিসারেরা (বিএলও) পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজ করে আসেন।
কিন্তু এত কিছুর পরেও সংশোধিত পরিচয়পত্র বাড়িতে আসার পরে দেখা যাচ্ছে অনেকেরই নামের বানান, বয়স, ঠিকানায় ভুল রয়ে গিয়েছে। যা সংশোধনের জন্য আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে। এতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বহু ব্লকে ইতিমধ্যে নতুন করে ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। এর জেরে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনও পড়ছে। অভিযোগ, প্রশাসনের গাফলতিতেই এভাবে বারবার হয়রান হতে হচ্ছে মানুষকে।
ভাঙড়ের বাসিন্দা জুলফিকার আলি মোল্লার কথায়, ‘‘কিছু দিন আগেই টাকা খরচ করে সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে অনলাইনে ভোটার কার্ডে নামের বানান সংশোধন করেছিলাম। তবে আবারও নাম ভুল এসেছে। বয়সেও ভুল। এখন আবার বিডিও থেকে বলছে ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার জন্য। মানুষকে বার বার হয়রান হতে হচ্ছে।’’
কেন সংশোধনের পরেও ভুল থেকে যাচ্ছে পরিচয়পত্রে?
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশোধন কর্মসূচির সময়ে সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বয়স, পদবি ভুল এসেছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘সফটওয়ারের সমস্যার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। আমরা ইলেক্টরস ইনফর্মেশন স্লিপ বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছি।’’