এ বার সময় খাওয়া-দাওয়ার।
বক্সে হিন্দি গানের কলি শুনে স্থির থাকতে পারলে না। দু’পা নেচেও নিলেন কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান।
‘যাই যাই’ করেও ফিরে আসা শীতের নরম রোদে পিঠ সেঁকে পিকনিকের আনন্দে মাতল বসিরহাট, টাকি, বাদুড়িয়া।
ছোটখাট গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সতর্ক ছিল পুলিশ-প্রশাসন ও পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও তাঁদের আর ডান্ডা হাতে কাউকে শাসন করতে হয়নি। নির্বিঘ্নেই পিকনিক সেরে বাড়ি ফিরেছেন পর্যটকেরা।
তবে তুলনায় ভিড় কম হয়েছে ইছামতীর পাড়ে। ঠান্ডা তেমন না পড়াতেই কি এমন ঘটনা, চলছে মুখে মুখে নানা আলোচনা। নাচের তালে যে জওয়ানেরা পা মিলিয়েছিলেন, তাঁদের কষা মাংস ‘অফার’ করেছিলেন পিকনিক পার্টির লোকজন। তা অবশ্য মুখে তোলেননি কর্তব্যরত জওয়ানেরা। তবে একজনকে বলতে শোনা গেল, ‘‘পরিবার-পরিজনের থেকে এত দূরে থাকি। এমন উৎসবের দিনে খারাপ লাগছিল। সুযোগ পেয়ে একটু আনন্দ করে নিলাম। তবে নজর রাখতে হয়েছে সব দিকেই।’’
খাওয়া-দাওয়া চলছে এখানেও, প্রকাশ্যেই চলছে মদ্যপান।
এ দিন সকালে মেঘলা করে থাকায় মুখ ভার ছিল পিকনিক করতে আসা অনেকেরই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবওহাওয়া তুলনায় ভাল হয়েছে। ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। শতাধিক গাড়ি এসেছিল দূরদূরান্ত থেকে। ইছামতীতে নৌকো নিয়ে ঘুরেছেন অনেকে।
সর্বত্রই এ দিন পুরকর্মী, পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের তৎপর থাকতে দেখা গিয়েছে। টাকি পুরসভার উদ্যোগে মাছরাঙা দ্বীপ দেখার জন্য বেশ কয়েকটি নৌকা, ভুটভুটি, লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
ক্যানিঙের ডাবুতে এ দিন পিকনিক করতে আসা অনেককেই প্রকাশ্যে মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে কড়াকড়ি ছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পুলিশকে তৎপর হতে দেখা গেল না। তারস্বরে বক্সও বেজেছে। পর্যটকদরে অনেককে নৌকো নিয়ে মাতলায় নেমে পড়তে দেখা গিয়েছে। যদিও জলে নামার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা ছিল পুলিশ-প্রশাসনের তরফে।
তবে দিনের শেষে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে নজরে পড়লে পর্যটকদের মদ্যপান করতে নিষেধ করা হয়েছে। জোরে মাইক চালাতে দেওয়া হয়নি।
টাকি ও ডাবুতে তোলা নিজস্ব চিত্র।