—প্রতীকী ছবি
রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় ‘রেফার’ করেছিল হাসপাতাল। পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুল্যান্স ডেকেও আনেন। অভিযোগ, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে অন্য এক রোগীকে এক রকম জোর করেই তুলে দেন হাসপাতাল চত্বরে ওষুধের দোকানের মালিক ও তাঁর এক সাগরেদ। তর্কাতর্কি, হুমকি চলে। এরই মাঝে অন্য রোগীকে নিয়ে রওনা হয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। আধ ঘণ্টা সময় ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে। স্ট্রেচারের উপরেই মারা যান ‘রেফার’ হওয়া বৃদ্ধ রোগী।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা পরিচালিত প্রজ্ঞানন্দ মাতৃ সেবাসদন হাসপাতালে। মৃত ননীগোপাল দাসের (৭০) পরিবারের লোকজনের দাবি, রোগীকে দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার জন্য ওই দুই যুবক দায়ী। এই নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের আত্মীয়স্বজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিবারের তরফে থানা বা পুরসভায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ননীগোপালের বাড়ি ৩ নম্বর নিউমার্কেট এলাকায়। রবিবার বেলা ৩টে নাগাদ বাড়িতে বাথরুমের মধ্যে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন চিকিৎসক।
মৃতের ভাইঝি অঙ্কিতা বাগচী বলেন, ‘‘পড়ে গিয়ে উনি সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সন্ধ্যায় চিকিৎসক তাঁকে রেফার করলে আমরা বাইরে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে আনি। অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালে এলে ওষুধের দোকানি এবং আরও এক যুবক রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে দেননি। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে অন্য রোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন তাঁরা। এরপরেই আমাদের রোগী মারা যান।’’
অ্যাম্বুল্যান্স চালক দেবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বারবার বলা সত্ত্বেও বৃদ্ধকে ওই দু’জন অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে দেয়নি। উল্টে হুমকি দিয়েছে।’’
পুরপ্রশাসক প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘পুরসভা থেকে লিজ় নিয়ে ওরা ওষুধের দোকান চালাচ্ছে। ওরা অন্যায় করেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, হাসপাতালে অব্যবস্থা চলছে।