ফাইল চিত্র।
হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট’-এ (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর ফলে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ ওই ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধকে এখন এইচডিইউতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠাতে হলে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স প্রয়োজন। আমরা তা পাওয়ার চেষ্টা করছি। ওই ইউনিটে ভর্তি অন্য রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’’ হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাঁকে এইচডিইউতে ভর্তি করা হয় অন্য রোগীদের সঙ্গে। সোমবার রিপোর্ট আসে, তিনি পজ়িটিভ। স্থানীয় মানুষজনের প্রশ্ন, করোনা উপসর্গ থাকা রোগীকে কেন বাকিদের সঙ্গে এইচডিইউতে ভর্তি করা হবে? একই প্রশ্ন তুলেছেন বনগাঁর পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্যও। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন, ঘটনার তদন্ত করে কাদের গাফিলতি, তা তারা খুঁজে বের করুন।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, কোনও মহলের চাপে বৃদ্ধকে এইচডিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘বৃদ্ধের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। পরে তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে এইচডিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে ইউনিটটি জীবাণুমুক্ত করে ফের রোগী ভর্তি করা হবে।’’ ২০১৫ সালে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালে এইচডিইউ ইউনিট চালু হয়। শয্যা সংখ্যা ৬টি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে রাজ্যের মধ্যে এইচডিইউ পরিষেবায় বনগাঁ হাসপাতাল প্রথম স্থান পেয়েছিল। মানুষের ভরসার তৈরি হয়েছে এই ইউনিটকে ঘিরে।