—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে, তবে ঘরের অবস্থা এমনই বেহাল, বিপদের আশঙ্কায় ছেলেমেয়েদের পাঠাতে চান না অভিভাবকেরা। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি পঞ্চাতের ভান্ডারখালি দক্ষিণ-পূর্ব দাসপাড়ার ১২১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তি কেন্দ্র তৈরির জন্য জমি দান করেন। সেই জমিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হয়। ২০০৭ সাল থেকে কর্মী হিসেবে আছেন সুপর্ণা কর্মকার। তিনি জানান, ঘর তৈরি হওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। প্লাস্টার খসে পড়তে থাকে। এখন ভিতর-বাইরে সর্বত্রই প্লাস্টার খসে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ইট বেরিয়ে পড়েছে। মাত্র একটি ঘর। সামনে ছোট্ট বারান্দা। ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র রাখতে হয়। বাচ্চা এলে তাদেরও ওই ঘরেই বসাতে হয়। আলাদা রান্না ঘর তৈরি হয়নি। ছোট্ট বারান্দায় রান্না করতে হয়। এই কেন্দ্রে ঢোকার লোহার গেট ভাঙাচোরা। যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। কেন্দ্রের সহায়িকা মোহিনী মণ্ডল বলেন, "সব সময়ে দেওয়াল থেকে বালি ঝরছে। একটু জোরে হাওয়া দিলে বা হাত দিলে আরও বেশি বালি পড়তে থাকে। সাবধানে রান্না করতে হয়। যতটা পারি খাবার ঢেকে রাখি।" মোহিনী আরও জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে একটি কল বসানো হয়েছিল। ২০২০ সাল নাগাদ সেটি চুরি হয়ে যায়। সেই থেকে জলের ব্যবস্থা নেই। একটু দূরে এক জনের বাড়ি থেকে জল এনে রান্না করতে হয়, বাসন ধুতে হয়। কিছু দিন আগে পানীয় জলের একটি ট্যাপ বসানো হয়েছিল স্কুলে। সেই ট্যাপে ইদানীং জল মিলছে না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একটি শৌচাগার ছিল। সেটিরও এখন ভগ্নদশা। গত কয়েক বছর ধরে আর ব্যবহার করা যায় না। সুপর্ণা জানান, এখন বাচ্চাদের শৌচকর্মের প্রয়োজন হলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হিঙ্গলগঞ্জের সিডিপিও শ্যামল দত্ত জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।"