শ্যামলী বালা পাইকের। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের তরফে সঠিক আবাসিক শংসাপত্রই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই শংসাপত্র দেখিয়ে মিলত না রাজ্য সরকারের পড়ুয়া-ভাতা ‘কন্যাশ্রী’। তাই, শংসাপত্রে বিবাহিতের জায়গায় ‘অবিবাহিত’ লিখে কন্যাশ্রী ফর্ম জমা করার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ হয়। আবাসিক শংসাপত্র বিকৃত করার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় পঞ্চায়েতের এক সদস্যার স্বামীকে হুমকি এবং তাঁদের বাড়িতে হামলার অভিযোগও উঠেছে ওই বধূ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
গাইঘাটা থানার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েতে দীঘা সুকান্তপল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার তৃণমূলশাসিত ওই পঞ্চায়েতের সদস্যা শ্যামলী বালা পাইকের কাছে আবাসিক শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন সুমনা রায় নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা। অভিযোগ, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ওই শংসাপত্রে তাঁর নামের পাশে ‘অবিবাহিত’ লিখে দেওয়ার জন্য শ্যামলীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন সুমনা। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে ‘বিবাহিত’ই লেখেন পঞ্চায়েত সদস্যা। এর পরেও কন্যাশ্রীর ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ওই শংসাপত্রে বিবাহিতের জায়গায় নিজেকে অবিবাহিত হিসাবে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ উঠল সুমনার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুমনা কন্যাশ্রীর ফর্ম জমা দেওয়ার পরে তথ্য যাচাইয়ের জন্য পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ফোন করা হলে শ্যামলী জানান, ‘বিবাহিত’ লেখা শংসাপত্রেই ছাড়়পত্র দিয়েছেন তিনি। তাঁর অজান্তে বিবৃক করা হয়েছে ওই শংসাপত্র। এই ঘটনার পরেই পঞ্চায়েত সদস্যাকে হুমকি এবং তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে সুমনা ও তাঁর স্বামী গৌরাঙ্গ দাসের বিরুদ্ধে।
এর পরেই থানায় সুমনা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই আটক করা হয় গৌরাঙ্গকে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘সার্টিফিকেট বিকৃত করে গৌরাঙ্গ অন্যায় করেছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, ওঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’