সুবিদ আলি মোল্লা।
নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুল শিক্ষক তথা তৃণমূলের ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার ভগবানপুরের আবুয়া গ্রাম থেকে ধরা পড়েন সুবিদ আলি মোল্লা। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রামে প্রাইভেট টিউশনও পড়ান সুবিদ। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে ভোটে জিতে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হন।
গ্রামেরই বছর তেরোর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সোমবার সকালে কোচিংয়ে যাচ্ছিল। তার পরিবারের অভিযোগ, সুবিদ তাকে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে মাকে সে কথা বলে। রাতে কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে আবুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এর আগেও ওই শিক্ষক এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। যেহেতু তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, সে কারণে অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করতেন না।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা এখন তৃণমূলের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ওরা যে ভাবে তোলাবাজির টাকায় ভোগ-বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে, এ সব তারই প্রতিফলন। আমরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুবিদের স্ত্রী জায়েদা বিবি অবশ্য বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও ভাবেই এই ঘটনায় জড়িত নন। ওঁকে অন্যায় ভাবে মিথ্যা চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা।’’ এ বিষয়ে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশ সুবিদকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমাদের দল কোনও ভাবেই অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না।’’