বিজেপির বিক্ষোভে উপস্থিত অগ্নিমিত্রা পাল। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তপ্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার। বৃহস্পতিবার সেখানকার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, পঞ্চায়েতে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও বিডিওর পক্ষ থেকে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, এখনই বোর্ড গঠন হচ্ছে না। এই নোটিস প্রকাশ্যে আসার পরেই এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভস্থলে আসেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির বক্তব্য, বোর্ড গঠনে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় বোর্ড গঠন বৃহস্পতিবারের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারত।
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিডিওর পক্ষ থেকে প্রত্যেক প্রার্থীকে একটি নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিসেই নাকি জানানো হয় যে, আজকে বোর্ড গঠন হচ্ছে না। মন্দিরবাজারের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে বিজেপি ১০টি, তৃণমূল ৫টি, আইএসএফ ৩টি এবং নির্দল একটি আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে এই পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১১। পঞ্চায়েতের ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর বিজেপির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। এই মামলায় আদালত দু’দিনের স্থগিতাদেশ দেয়। বিজেপির অভিযোগ, ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করছে প্রশাসন। দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। সে ক্ষেত্রে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পারবে না।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, “আইসি বলছেন, পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। বিডিও বলছেন, আইসি বললেই বোর্ড গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। আবার এসপি সাহেব বলছেন, বিষয়টি দেখছি। আমাদের বলা হচ্ছে, আজ বাদে যে কোনও দিন বোর্ড গঠন করা যাবে। কেন আমরা বোর্ড গঠন করতে পারব না। এই সব করে বিজেপিকে রোখা যাবে না।” স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানা গিয়েছে, যত ক্ষণ না পর্যন্ত বোর্ড গঠন হচ্ছে, তত ক্ষণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।