বাজেয়াপ্ত: সিআইডি-র জালে ধরা পড়ে এই কচ্ছপগুলিই। শনিবার, বারাসতে। নিজস্ব চিত্র
বারাসত থেকে ২৭০টি কচ্ছপ আটক করল সিআইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে কচ্ছপের পাচারের সঙ্গে জড়িত তিন কারবারিকে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়তেই সহজেই মিলছে ছোট, বড় কচ্ছপ। নিষেধ না মেনে খাওয়ার জন্য সেই কচ্ছপ ধরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। কচ্ছপ নিয়ে ভিন্ রাজ্যেও চলছে দেদার ব্যবসা। ট্রাক, বিভিন্ন গাড়ি ভর্তি করে এই কচ্ছপ পাচার হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসতের এমনই একটি ডেরায় হানা দেয় সিআইডি। ২৭০টি কচ্ছপ আটক হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, শনিবার বারাসতের ন’পাড়ার কাঠগোলা এলাকায় একটি গাড়ি থেকে মেলে কচ্ছপগুলি। এ দিন খবর পেয়ে বাইকে করে গাড়িটিকে তাড়া করে আটকায় সিআইডি দল। গাড়ির মধ্যে আটটি বস্তা রাখা ছিল। সেই বস্তা থেকেই কচ্ছপগুলিকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ি থেকে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে তাদের জেরা করে আরও এক জনকে ধরা হয়। এ দিন ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গাড়িটিকেও আটক করেছে সিআইডি।
সিআইডির তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, কচ্ছপগুলি ওড়িশা থেকে আনা হয়েছিল। কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে পাচারের জন্য কচ্ছপগুলিকে বারাসতে আনা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে তাদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না তা জানা যাবে বলে ধারণা সিআইডি-র।
উদ্ধারের পরে কচ্ছপগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। উত্তর ২৪ পরগনার বনাধিকারিক মানিকলাল সরকার বলেন, ‘‘ওই কচ্ছপগুলি আপাতত সল্টলেকের রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা করার পরে কচ্ছপগুলিকে জলে ছাড়া হবে।’’ এত ধরপাকড়, প্রচার সত্ত্বেও কিছু মানুষের মধ্যে কচ্ছপের মতো বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটিকে খাওয়ার প্রবণতা কমছে না বলেও মন্তব্য করেন মানিকলালবাবু।