বিজ্ঞপ্তি: গাইঘাটার দেবীপুরে ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক
আদালতের নির্দেশে মদের দোকান বন্ধ। কিন্তু দোকানের পিছন থেকেই দেদার মিলছে মদ। তবে তার জন্য ‘মুখ চেনা’ লোক দরকার।
জেলার জাতীয় সড়ক বা হাইওয়ের পাশে থাকা মদের দোকান শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই গোপনে মদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বারসত-টাকি সড়কের পাশে বসিরহাট থানার মাটিয়া এলাকায় রয়েছে দু’টি মদের দোকান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দোকান দু’টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওই এলাকায় মদ বিক্রি বন্ধ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
বাসিন্দারা জানান, দোকান বন্ধ হলেও এলাকায় প্রকাশ্যেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মদ। কিছু যুবক মদ নিয়ে এসে তা বিক্রি করছেন। হাসনাবাদ ও হাড়োয়া এলাকা থেকে মদ এনে এখানে তিনগুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘মদের দোকান বন্ধ করতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’’
আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বনগাঁ বসিরহাট ও বারাসত মহকুমার হাইওয়ের পাশে দোকান আছে ৬৭টি। সবকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জেলা আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট যষ্ঠীচরণ ঘোষের কথায়, ‘‘সরকারি নির্দেশ আমাদের কাছে আসেনি। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে পড়ে আমরা দোকান মালিকদের মৌখিক ভাবে বন্ধ রাখতে বলেছি। তাঁরা দোকান বন্ধও রেখেছে।’’
আরও পড়ুন: পর পর মৃত্যুতেও উদাসীন প্রশাসন
গোপালনগর থানার ন’হটা বাজারে স্থানীয় বকচড়া-ন’হটা সড়কের পাশে একটি মদের দোকান খোলা ছিল। সেখানে অনায়াসেই মদ পাওয়া যাচ্ছে। দোকানের এক কর্মী বলেন, ‘‘দোকানটি জাতীয় সড়কের পাশে নয়। ফলে আইন মেনেই তাঁরা মদ বিক্রি করছেন।’’
ব্যারাকপুরের বিটি রোডের ধারে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অধিকাংশ মদের দোকান বন্ধ। ফলে রাস্তা থেকে দূরে মদের দোকানগুলিতে ভিড় হচ্ছে বেশি। রবিবার সোদপুর ও জগদ্দলের কয়েকটি মদের দোকানে পুলিশ দিয়ে লাইন সামলাতে হয়েছে। এলাকার মদ বিক্রেতারা জানান, রাস্তার ধারের দোকানগুলি বন্ধ হওয়ায় দোকানে এমন ভিড় হচ্ছে। যা সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
তবে বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। দোকান বন্ধ রাখায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।