পড়ে আছে আনিসুর রহমানের দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আচমকা ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। ওই ঘটনায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নির্দল প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিরুদ্ধে। যদিও আইএসএফ তা অস্বীকার করেছে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম আনিসুর ওস্তাগর (৫০)। তিনি বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা। আনিসুর ফুলমালঞ্চ অঞ্চলের ওস্তাগর পাড়ার ৯২ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রোকেয়া ওস্তাগরের ভাইপো বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, শনিবার বেলার দিকে ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক স্কুলে ভোটগ্রহণ চলার সময় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আনিসুর। সেই সময় আচমকা বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমা বিস্ফোরণের ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারেরা আতঙ্কে পালিয়ে যান। তবে বোমা আনিসুরের গায়ে লাগে। মসিবুর রহমান ওস্তাগর নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘নির্দল প্রার্থীর দলবল বোমা ছুড়েছে। সেই বোমা লেগেছে আনিসুরের ডান কানে। তাতে ও মারা গিয়েছে।’’
ওই ঘটনায় আইএসএফের বিরুদ্ধে আনিসুরকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। যদিও আইএসএফ তা উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।
শনিবার ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটের দিন ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এ ছাড়া কোচবিহারে দু’জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মালদহ ও পূর্ব বর্ধমানে এক জন করে নিহত হয়েছেন ভোট সংঘর্ষে।