আলাঘর: এখানেই মারধর করা হয় আলিউরকে। নিজস্ব চিত্র
যুব তৃণমূল সভাপতির ভাইকে রড, ভোজালি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই এক নেতা-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হাঁসিয়া গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জখম হয়েছেন, অলিউর রহমান নামে এক যুবক। তিনি বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। কয়েকটি সেলাইও পড়েছে। ওই ঘটনার পর অলিউরের দাদা রবিউল ইসলাম দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের আবদুল ওদুতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গোটা ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এল দেগঙ্গাতে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যক্তির বয়ান নেওয়া হয়েছে। সেই মতো তদন্ত চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাঁসিয়া গ্রামে রবিউলের একটি মাছের ভেড়ি রয়েছে। বুধবার রাতে সেখানে ভেড়ি পাহারা দিচ্ছিলেন অলিউর সহ কয়েকজন। রবিউল ছিলেন অন্য একটি ভেড়িতে। অভিযোগ, সে সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী রড, ভোজালি, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অলিউরের উপর হামলা চালায়। তাঁকে রড দিয়ে মাথায় মারা হয়।
রবিউল বলেন, ‘‘ওই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে আবদুল। হামলাকারী ফিরে যাওয়ার সময় গুলিও চালায়।’’ খবর পেয়ে জখম ব্যক্তিকে প্রথমে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কেন হামলা চালানো হল?
রবিউল বলেন, ‘‘আমার উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিল আবদুলের। সে কারণেই ভাইয়ের উপর হামলা চালান আবদুল।’’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আবদুল বলেন, ‘‘ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। ঘটনাস্থলে আমি ছিলামও না। পুলিশকে বলেছি ঘটনার তদন্ত করতে।’’
আবদুল জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ওরা আমার নামে অভিযোগ করেছে। আমি দলীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এ প্রসঙ্গে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশকে বলেছি ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’’