—প্রতীকী চিত্র।
‘বিশ্ব সাপ দিবস’ ছিল রবিবার। এ দিনই ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়াল একই পরিবারের তিন সদস্যকে। সেলিমা সর্দার তাঁর দুই সন্তান রেশমা ও হালিমাকে নিয়ে মাটির মেঝেয় শুয়েছিলেন। কালাচ সাপ ছোবল মারে বারো এ ছ’বছরের হালিমা, রেশমাকে। মেয়েদের বাঁচাতে গেলে সাপের ছোবল খান মা-ও।
হাসপাতালে না এসে মেয়েদের নিয়ে ওঝা-গুনিনের কাছে গিয়েছিলেন সেলিমা। বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়। পরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এলে বাঁচানো যায়নি হালিমাকে। রেশমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেলিমা বলেন, “ঘুমের মধ্যেই মেয়েরা কেঁদে ওঠে। আলো জ্বালিয়ে দেখি, বিছানায় সাপ। সেটাকে সরাতে গেলে আমাকেও কামড়ে দেয়। এরপরে সাপটাকে মেরে ফেলি। কিন্তু হাসপাতালে না এনে এলাকার এক ওঝার কাছে গিয়েছিলাম। তাই অনেক দেরি হয়ে গেল।”
ক্যানিং হাসপাতালের সাপেকাটা রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “ফের প্রমাণ হল, সাপে কামড়ানোর পরে সময় নষ্ট করলে কী ক্ষতি হতে পারে! ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করলে এই মৃত্যু হয় তো এড়ানো যেত।”