পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবকের

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে ঘিরে তেতে উঠল বসিরহাটের সীমান্তবর্তী প্রসন্নকাটি গ্রাম। রবিবার সকালের ওই দুর্ঘটনার পরে কিছুক্ষণের জন্য বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০২:২০
Share:

উদ্ধার: গাড়িটিকে নয়ানজুলি থেকে তোলা হচ্ছে। ছবি: নির্মল বসু

ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে ঘিরে তেতে উঠল বসিরহাটের সীমান্তবর্তী প্রসন্নকাটি গ্রাম। রবিবার সকালের ওই দুর্ঘটনার পরে কিছুক্ষণের জন্য বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ গাছা-আখাড়পুর পঞ্চায়েতের প্রসন্নকাটি গাজিপাড়ার কাছে সাইকেল আরোহী অনিমেষ সরকারকে (৪৫) ধাক্কা মেরে পালায় একটি পাথর বোঝাই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনিমেষবাবুর। ট্রাকটির পিছনেই ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। এর পর ওই গাড়িটিকে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তোলা আদায়ের জন্যই পুলিশ ওই ট্রাকটিকে ধাওয়া করেছিল। গতি বাড়িয়ে পালাতে গিয়েই ট্রাকটি ওই সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে সেই গা়ড়িতে থাকা পুলিশ কর্মীরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পুলিশের গাড়িটিকে ভাঙচুর চালিয়ে সেটিকে শুকনো নয়নজুলিতে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত-সহ পুলিশ বাহিনী। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরিটি আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তায় যানজট হয়ে যায়। আটকে পড়ে অনেকগুলি ট্রাক। তখন একটি ট্রাক মালিককে মারধর করে ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক ধরে বসিরহাটের ইটিন্ডা হয়ে ঘোজাডাঙা দিয়ে বাংলাদেশের ভোমরায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চালকদের থেকে তোলা আদায় করছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। পুলিশের একাংশেরও তাতে মদত রয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল মণ্ডল, আব্দুল হামিদ, মনিরুল গাজিরা অভিযোগ করেন, ট্রাকটি পুলিশকে তোলা না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। তাই পুলিশের একটি গাড়ি ওই ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। সেই জন্যই এই দুর্ঘটনা।

পুলিশ অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, সীমান্তবর্তী রাস্তায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই পুলিশের টহলদারি চলে। সাধারণ মানুষ রবিবার ভুল বুঝে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement