—প্রতীকী চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মৌসুনি দ্বীপে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে খাওয়ার সময় তাঁর মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে। ঘরে বসেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই নিয়ে রাজ্যে রেমালের প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। রবিবার রাতে ঝড় চলাকালীন কলকাতার এন্টালিতে বাড়ির কার্নিশ ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ের কারণে রবিবার রাত থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে দুর্যোগ শুরু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। জলের তোড়ে ভেঙেছে বাঁধও। মৌসুনি দ্বীপের রাত থেকে চলেছে ঝড়ের তাণ্ডব। মৌসুনি দ্বীপের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা রেণুকা মণ্ডল (৮০)। সোমবার সকালে তিনি ঘরের ভিতর খেতে বসেছিলেন। ওই সময়ে ঘরে আর কেউ ছিলেন না। আচমকা ঝড়ের প্রভাবে পাশের একটি বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। রেণুকার ঘরের অ্যাসবেসটসের চালের উপর পড়ে ওই ডালটি। তাতে চাল ভেঙে যায়। চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বৃদ্ধা।
এ প্রসঙ্গে সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, ‘‘বৃদ্ধা রান্নাঘরে খেতে বসেছিলেন। ঝোড়ো হাওয়াতে ওঁর বাড়ির লাগোয়া একটি বড় গাছ অ্যাসবেসটসের চালের উপর পড়ে। অ্যাসবেসটস ভেঙে বৃদ্ধা চাপা পড়েন এবং মারা যান। এ ছাড়া, ঝড়ে বহু মাটির বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। দুর্গতদের কাছে খাবার পাঠানোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে।’’
ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাতে আছড়ে পড়েছে সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী মোংলার কাছে। বর্তমানে তা শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার সারা দিন ঝড়বৃষ্টি চলবে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদে দুর্যোগের অভিঘাত বেশি হবে, তাই ওই দুই জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।