প্রতীকী ছবি
এক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মৃত রোগীর পরিজনদের মারধরের অভিযোগ উঠল। সোমবার, বজবজ থানার বুইতায়। অভিযোগ, নার্সিংহোমের নিরাপত্তারক্ষীরা বেধড়ক মারধর করেন তাঁদের। নার্সিংহোম অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছে, মৃতার পরিজনেরাই ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। তখন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।
পুলিশি সূত্রের খবর, রবিবার রাতে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা নেহা পারভিন (৩২)। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের নেহার সঙ্গে দেখা করে আসতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নেহার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নার্সিংহোমের গেটে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। এর মধ্যেই সোমবার ভোরে খবর আসে, নেহার মৃত্যু হয়েছে। কেন রবিবার রাতে নেহার সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এর পরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বেধে যায় বলে দাবি নেহার পরিজনদের।
অভিযোগ, এর পরে নার্সিংহোমের জরুরি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্য একটি গেট দিয়ে বেশ কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী হাতে লাঠি, বাঁশ এবং রড নিয়ে এসে আচমকাই রোগীর পরিজনদের উপরে চড়াও হয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে মৃতার পরিবারের কয়েক জন আহত হন। পাশাপাশি, চিকিৎসার বিল নিয়েও রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিশ। তারা পৌঁছে আহতদের খড়িবেড়িয়া স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
জেমিস নামে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগিণীর পরিজনেরাই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুরের চেষ্টা করছিলেন। তখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন। তাঁদের আরও দাবি, রাতে তাঁরা কাউকে নেহার সঙ্গে দেখা করতে যেতে বলেননি। নার্সিংহোমের মালিক জগন্নাথ গুপ্ত বলেন, ‘‘রাতে আমরা রোগিণীর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে বলিনি। সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিজনেরাই ভাঙচুর শুরু করেন। চিকিৎসকদের আক্রমণের চেষ্টাও করেন তাঁরা। তখন রক্ষীরা বাধা দেন। তাঁরাও কয়েক জন আহত হন। ঘটনার ভিডিয়ো রয়েছে। আমরাও পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’
পুলিশ জানায়, ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।