পুলিশের জালে শ্যামল
উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ত্রাস শ্যামল দাস ওরফে হাতকাটা শ্যামলকে গ্রেফতার করল হাবড়া থানার পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তিন সাগরেদকে। মঙ্গলবার রাতে হাবড়া বদর বাজার এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ লিটার তরল মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি গাড়িও আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্যামল ছাড়া ধৃত বাকিদের নাম সুমন দাস, সুশান্ত বিশ্বাস এবং গৌর দেবনাথ। তাদের বাড়ি বারাসত ও দত্তপুকুর এলাকায়। কে এই হাতকাটা শ্যামল? তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, শ্যামলের বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটা থানার নগরউখরা খ্রিস্টানপাড়ায়। একাধিক ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত সে। পুলিশের হাতায় 'দাগি ক্রিমিনাল'। শ্যামলের এলাকা মূলত হরিণঘাটা থানা সহ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর, গাইঘাটা, হাবড়া, দত্তপুকুর ও বারাসাত। এই সব এলাকার স্থানীয় দুষ্কৃতীদের নিয়ে সে দল বানিয়েছিল। শ্যামলের অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল অল্পবয়সে। প্রথমে ছোটখাটো চুরি-ছিনতাই করত। পরে পেট্রল পাম্পে ডাকাতি করে। ২০০৫ সালে বোমা বাঁধতে গিয়ে তার ডান হাত উড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালে হাবড়ায় পুলিশ তাকে ৫ কেজি গাঁজা-সহ গ্রেফতার করেছিল। ২০১৩ সালে গোপালনগরে হারু শিকদার ও ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে শ্যামল ও তার দলবল। সে বারও ধরা পড়ে জেল খাটতে হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে ওই বছরই হরিণঘাটার সুখেন সরকার নামে এক ব্যক্তির সোনার দোকানে ডাকাতির ও বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল শ্যামল। এ ছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে ডাকাতির জন্য জড়ো হওয়া, বেআইনি অস্ত্র রাখা, ডাকাতির অভিযোগে আরও কয়েকবার ধরা পড়ে সে।