চলছে শিবির। নিজস্ব চিত্র।
শুধুমাত্র ধরপাকড়ে যে কাজ হবে না, অতীত অভিজ্ঞতা সে কথাই প্রমাণ করে। এ বার চোলাইয়ের বিরুদ্ধে তাই গ্রামবাসীদের সচেতনতা বাড়াতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন। বুধবার বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়ের উদ্যোগে বাগদার আমডোব এবং বনগাঁর মুড়িঘাটা এলাকায় সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ছিলেন আবগারি দফতরের কর্তারাও।
চোলাইয়ের নেশায় প়ড়ে সংসারে অশান্তি ডেকে না আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বা়ড়ির পুরুষ সদস্যদের। চোলাইয়ের ব্যবসা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। মদের নেশায় চুর হয়ে থাকলে শরীরের উপরে কী প্রভাব পড়ে, বলা হয়েছে সে কথাও। পাশাপাশি অনিলবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা আর কখনও চোলাই বিক্রি বন্ধ বা নেশা বন্ধ করতে এখানে সভা করব না। বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ চোলাই কারবারিদের গ্রেফতার করবে।’’
বাগদার আমডোব গ্রামে বহু দরিদ্র ও আদিবাসী পরিবারের বাস। দিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে রোজগারের বেশির ভাগ টাকাটাই সন্ধের পরে চোলাইয়ের আসরে উড়িয়ে বাড়ি ফেরে বাড়ির ছেলেরা। তারপরে শুরু হয় ঝগড়াঝাটি, মারধর। বাবা-কাকাদের এ হেন আচরণ দেখে তটস্থ হয়ে থাকে ছেলেমেয়েরা। একই পরিস্থিতি বনগাঁর মুড়িঘাটাতেও। আমডোব এলাকায় আবার বেশ কিছু বাড়িতে চোলাই তৈরিও হয়।
আমডোব বাজারে আয়োজিত সভায় অনিলবাবু বলেন, ‘‘চোলাই বিক্রি কোনও মানুষের পেশা হতে পারে না। আপনারা বিষ তৈরি করছেন এবং তা আপনারাই খাচ্ছেন। অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করুন।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআই গাইঘাটা পার্থ সান্যাল, ওসি বাগদা আশিস দলুই, আবগারি দফতরের ডিইসি তিলক চৌধুরী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সকলেই চোলাই বিক্রি ও নেশার ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেন। কয়েক মাস আগেও অনিলবাবু উদ্যোগে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষকে নিয়ে একটি সভা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, তারপরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। তবে এখন ফের চোলাইয়ের কারবার বেড়েছে। সে কারণেই এমন সভার আয়োজন।