সেতুর উপরে জ্বলে না আলো, বাড়ছে দুর্ঘটনা

বাসন্তী ও ক্যানিং ব্লকের মধ্যে সংযোগ করতে ক্যানিঙের মাতলা নদীর উপরে তৈরি হয়েছিল সেতু। তাতে লাগানো হয়েছিল আলোর স্তম্ভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

দীপ জ্বলে নাই। নিজস্ব চিত্র।

বাসন্তী ও ক্যানিং ব্লকের মধ্যে সংযোগ করতে ক্যানিঙের মাতলা নদীর উপরে তৈরি হয়েছিল সেতু। তাতে লাগানো হয়েছিল আলোর স্তম্ভ। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সেই আলো মাঝে মধ্যেই জ্বলে না। সেতুর উপরে বেড়ে চলেছে অপরাধমূলক কাজকর্ম। বাড়ছে দুর্ঘটনাও।

Advertisement

২০১১ সালে বাম জমানায় সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেতু নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের পর থেকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। সেতুর উপরে আলো জ্বলে না। মদের আসর বসে। চুরির ঘটনাও ঘটে আকছার।

মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির তারের ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’ সেতুর সংযোগকারী রাস্তার দু’পাড়ে ‘ইউ’ আকৃতির বাঁক রয়েছে। রাতের অন্ধকারে চালকেরা বাঁক বুঝতে না পেরে প্রায়ই গাড়ি নিয়ে মেছোভেড়িতে পড়ছেন বলে মানুষের অভিযোগ। সুন্দরবনের পর্যটন প্রসারের ক্ষেত্রেও এই সেতুর বড় ভূমিকা আছে। পর্যটকেরা এখন সরাসরি গাড়ি নিয়ে গদখালি, ঝড়খালিতে পৌঁছে যেতে পারেন এই সেতু দিয়ে। সেতুটি তৈরির আগে পর্যটকদের ক্যানিং থেকে লঞ্চে সুন্দরবন যেতে হতো। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষও এই সেতু দিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন। ফলে সেতুর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ খুবই জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement