বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রতীকী ছবি।
বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির জন্য রেলমন্ত্রক অর্থ অনুমোদন করেছে বলে দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
শনিবার দুপুরে বনগাঁ থেকে বারাসত পর্যন্ত একজোড়া ট্রেনের সূচনা করেন শান্তনু। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম এসপি সিংহ, বনগাঁ পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল। ওই উপলক্ষে বনগাঁ স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতায় শান্তনু বলেন, ‘‘বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অর্থবর্ষের টাকা হিসাবে অর্থ অনুমোদন করে দিয়েছেন। এখন রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে দিলে রেলপথ তৈরির কাজ আমরা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।’’
শান্তনু এ দিন আরও জানান, বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায়, ঠাকুরনগর স্টেশনে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগরেরমধ্যে রেলপথ তৈরির সমীক্ষার কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির শিলান্যাস করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বনগাঁ থেকে বাগদার মধ্যে রেলপথের দাবি অনেকদিনের। এখন সড়কপথই ভরসা সীমান্ত-লাগোয়া বাগদার মানুষের। বিশেষ করে রাতে যাতায়াত করতে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। কোনও কারণে বাস চলাচল বন্ধ থাকলে বাগদার মানুষের দুর্দশার শেষ থাকে না।
বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে বনগাঁ-বাগদা রেলপথের ঘোষণা করেন। তারপর আর কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে এগোয়নি। লোকসভা ভোটের পরে শান্তনুও রেলপথ তৈরি করতে পদক্ষেপ করেননি। এতদিন তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। এখন ভোটের আগে বনগাঁ-বাগদা রেলপথ নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছেন।’’
রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘বনগাঁ-বাগদা রেলপথ নিয়ে আগে কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থ মঞ্জুরের কথা ঘোষণা করা হোক। রেলমন্ত্রক রাজ্য সরকারকে জানাক। তারপরে আমরা জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সব রকম সহযোগিতা করব। আমারও চাই বাগদা পর্যন্ত রেলপথ হোক।’’
এ বিষয়ে শান্তনু পরে বলেন, ‘‘বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ অনুমোদন হয়েছে কি না, তাখতিয়ে দেখা হোক। তা হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের দায়িত্ব জমি অধিগ্রহণ করে দেওয়া। তা না করে আমাদের দোষারোপ করে লাভ নেই। রাজ্য সরকার জানাক, এই কারণে তারা জমি অধিগ্রহণ করতে পারছে না।’’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন লোকালটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে বারাসত থেকে বনগাঁর দিকে ছাড়বে। আবার সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে ট্রেনটি বনগাঁ থেকে বারাসতের দিকে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনেও দাঁড়াবে বলে রেল সূত্রের খবর।