সারি দিয়ে দাঁড়ানো ম্যাটাডর। নিজস্ব চিত্র।
ইলিশের মরসুম চলছে। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে আসা মাছের ম্যাটাডরগুলি প্রত্যেকদিনই জাতীয় সড়কে যানজট তৈরি করছে। এর সমাধানের জন্য মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমাশাসকের অফিসে একটি আলোচনা সভা হল।
ওই সভায় হাজির ছিলেন পুলিশ প্রশাসন ও মৎস্য ব্যবসায়ীর সদস্যরা। ডায়মন্ড হারবার মহকুমাশাসক শান্তনু বসু বলেন, ‘‘১১৭ নম্বর সড়কের যানজট কমাতে মাছ বোঝাই ম্যাটাডরগুলির জন্য নতুন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
কাকদ্বীপ ম্যাটাডর ইউনিয়নের সভাপতি বাদল মাইতি বলেন, ‘‘সবার মধ্যস্থতায় সমাধান সূত্র বের করা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অন্য পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।’’
ফি বছর ইলিশের মরসুমে রায়দিঘি, কুলপি, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ও সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই ম্যাটাডর ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি মাছ বাজার নগেন্দ্র বাজারে আসে। কিন্তু ওই পাইকারি বাজারে কোনও পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ম্যাটাডোরগুলি দাঁড় করিয়ে মাছ নামানো হয়। ফলে যানজট তৈরি হয়। কলকাতা- কাকদ্বীপ, নামখানা পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘিগামী সমস্ত গাড়ির লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে।
সোমবার এই কারণে প্রায় ঘণ্টা খানেক রত্নশ্বরপুর থেকে সাগরিকা পর্যন্ত যানজট হয়। এরপরেই পুলিশ এসে কয়েকজন ম্যাটাডরের চালক ও মৎস্যজীবীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সে নিয়ে কাকদ্বীপ ও নামখানার সমস্ত ম্যাটাডরের চালকেরা বুধবার গাড়ি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ইউনিয়ন থেকেই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘ওরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিলে মাছ নষ্ট হয়ে যাবে। সে কারণেই তড়িঘড়ি এই সভা করা হল।’’