এখন পাশে কেউ নেই, বলছেন মা

তবে চন্দনের সঙ্গীরা কেউ ধরা পড়েনি। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছর ঘুরে গেল, এখনও একলা ঘরে বসে মেয়ের জন্য চোখের জল ফেলেন মা। দরিদ্র আদিবাসী পরিবারটির মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এখনও শাস্তি পায়নি কেউ। দু’জন ধরা পড়লেও বাকিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ, তাই নিয়েও ক্ষোভ চরমে পরিবারটির। মেয়ের মা বলেন, ‘‘আমাদের কেউ দেখার নেই। তাই তো এক বছর হতে চলল, মেয়ের খুনিরা এখনও সাজা পেল না।’’ বসিরহাট মহকুমার ন্যাজাটের মেয়েটিকে টেনে-হিঁচড়ে ইটভাটার দিকে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এক দিন পরে বয়ারমারি গ্রামের চন্দন দাসের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় চন্দন-সহ দু’জন। তারা এখনও জেলে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটি কলেজে পড়াশোনার পাশে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা ছিল। মা বলেন, ‘‘ছেলেটা সঙ্গীদের নিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করার পরে ধর্ষণ করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য ওরা খুন করল।’’ তাঁর দাবি, ছেলেটি অ্যাসিড মেরে মেয়ের মুখ বিকৃত করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ঘটনার পর পর চন্দনের পরিবার দাবি করেছিল, তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান ওই তরুণী। মৃতের বাবা বলেন, ‘‘অপরাধীরা গ্রেফতার হবে, আমরা সুবিচার পাব বলে অনেকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। অনেকে বাড়ি এসে সে কথা বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আর বিশেষ কারও দেখা মেলে না।’’ তেলঙ্গনার ঘটনায় পুলিশ ঠিক কাজ করেছে বলে মনে করে তরুণীর পরিবার। তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের মেয়েটাকে যারা কষ্ট দিয়ে মেরেছে, তাদের সকলের চরম শাস্তি চাই।’’ অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের স্থানীয় শাখার সম্পাদক দিলীপ সর্দার বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছিল। তবে চন্দনের সঙ্গীরা কেউ ধরা পড়েনি। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement