ডেঙ্গি নিয়ে নড়ে বসল নৈহাটি

গত বার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। দেগঙ্গার মতো মহামারী না হলেও ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছিল নৈহাটিতেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ক্ষতটা গত বছরের। তার স্মৃতি এখনও দগদগে। কিন্তু সেই মারণ স্মৃতি যাতে ফের ফিরে না আসে তার জন্য আগেভাগেই ময়দানে নামল নৈহাটি পুরসভা।

Advertisement

আর গরম পড়ার অপেক্ষা নয়, ডেঙ্গি ঠেকাতে বছরভর ময়দানে থেকে মোকাবিলার রাস্তা তৈরি করতে চায়ছে তারা। তার জন্য গড়া হয়েছে বিশেষ দল। সেগুলির নজরদারির জন্য রয়েছে আরও দল। সোমবার এলাকার সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে, চিকিৎসক, প্যাথলজি সেন্টারের বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য শুনে বাড়ি ফেরা আম নাগরিকেরা বলছেন, ‘‘শুধু প্রশাসন নয়, এ বার সচেতন হব আমরাও। তা না হলে ফের মহামারী হবে ডেঙ্গি।’’

গত বার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। দেগঙ্গার মতো মহামারী না হলেও ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছিল নৈহাটিতেও। সেই সময় বিশেষ অভিযান শুরু করেছিল নৈহাটি পুরসভা। কিন্তু, শেষ সময় নেমে ডেঙ্গি সামাল দেওয়া যায়নি।

Advertisement

নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় আমরা আগে থেকেই তৈরি থাকতে চাইছি। যাতে ডেঙ্গি না ছড়ায়, তার জন্য পুরসভা বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। আমরা এলাকায় ঘুরছি। সাধারণ মানুষও এখন অনেক সচেতন। তাঁরাও সহযোগিতা করছেন।’’

এক মাস আগে থেকেই নৈহাটি পুর এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলার লড়াই শুরু হয়েছে। নৈহাটির পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সনৎ দে জানান, ৩১টি ওয়ার্ডের জন্য মোট ১৪৬টি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা ফিল্ড ওয়ার্কার। প্রতিটি দলে থাকছেন দু’জন করে। এলাকা ভাগ করে তাঁরা রোজ এলাকার বাড়িতে বাড়িতে ঘুরছেন। কোথাও নোংরা-আবর্জনা পড়ে থাকলে, কোথাও জল জমে থাকলে, তাঁরা তা দেখছেন। তাঁদের কাজে নজরদারির জন্য রয়েছে ২৯ জন সুপারভাইজারের দল। ফিল্ড ওয়ার্কাররা সুপারভাইজারদের জানাবেন। সুপারভাইজারদের কাজ দেখার জন্য রয়েছেন তিন আধিকারিক। তাঁরা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগকে জানাবেন। পরদিনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ডেঙ্গি সচেতনতায় দু’টি পদযাত্রা করা হয়েছিল। এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে, পুরসভার জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ তাতে পা মিলিয়েছিলেন।

পার্থ বলেন, প্রয়োজন ছিল শহরের সব স্তরের বাসিন্দাদের একটি আলোচনাসভায় নিয়ে আসা। যাতে প্রয়োজনীয়তাটা তাঁরা বুঝতে পারেন। সোমবার তাই হল। এলাকার বাসিন্দা সুকুমার হালদার বলেন, ‘‘বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দা থেকে শুরু করে সব পেশার মানুষদের ডাকা হয়েছিল। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বললেন। পুরসভা চেষ্টা করছে। কিন্তু, আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement