সাফল্য: নাক-এর রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে অধ্যক্ষেকে। ছবি: নবেন্দু ঘোষ
নাক-এর মূল্যায়নে ‘সি গ্রেড’ পেল সুন্দরবনের প্রান্তিক কলেজ হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়। কলেজ সূত্রের খবর, ২০০৫ সালে পথ চলা শুরু করে কলেজটি। তবে দীর্ঘ সময় কোনও স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। ২০২১ সালে প্রথম স্থায়ী অধ্যক্ষ আসেন। এরপর থেকে কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি হয়।
কলেজের তরফে এ বারই প্রথম নাকের মূল্যায়ন করানো হয়। প্রাথমিক পর্ব উত্তীর্ণ হওয়ার পরে জানুয়ারি মাসে পরিদর্শক দল আসেন কলেজে। মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণা হয়। কলেজ শিক্ষকদের যোগ্যতা, কলেজের পরিবেশ ও রক্ষণাবেক্ষণের মতো বিষয়ে একশো শতাংশ নম্বর পেয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়।
টাকি সরকারি কলেজ ২০১৮ সালে নাকের মূল্যায়নে ‘সি’ গ্রেড পেয়েছিল। এ বার হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় টাকি সরকারি কলেজের সঙ্গে এক সারিতে উঠে এল।
কলেজ শিক্ষক মনামী মুখোপাধ্যায় ও শামিম ভর জানান, বেশ কিছু বিষয়ে কলেজ একশো শতাংশ নম্বর পেয়েছে। খুব কম নম্বরের জন্য ‘বি’ গ্রেড’ হাতছাড়া হয়েছে। সে জন্য প্রয়োজন ছিল ২.০১ নম্বর। হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় পেয়েছে ১.৯৭।
কলেজের অধ্যক্ষ শেখ কামালউদ্দিন বলেন, ‘‘নাকের মূল্যায়নে আমরা উৎসাহ পেলাম। এ বার আমাদের লক্ষ্য এ গ্রেড। সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি।’’ অধ্যক্ষ জানান, নাকের স্বীকৃতি না থাকলে কলেজে ইউজিসির অনুদান মেলে না। আগামী পাঁচ বছর হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় অনুদান পাবে। তা দিয়ে কলেজে আরও উন্নতি করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘‘এ বার কলেজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু করা হবে। বিজ্ঞান শাখা ও ডিফেন্স স্টাডির মতো বেশ কিছু নতুন কোর্সও চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি, ছেলেদের জন্য হস্টেল চালুরও পরিকল্পনা আছে।’’