এই ঘরেই মেলে দেহ। নিজস্ব চিত্র
হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। তাঁর ওড়নার ফাঁস জড়িয়েই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকে মহিলার স্বামী নিখোঁজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শহরের একটি হোটেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আসমা বেগম (৪০)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আসমার স্বামী মহম্মদ আবদুল কাসেম এ দিন সকালে পেট্রাপোল দিয়ে দেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে কাসেম সন্দেহ করত। যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে আসমা, কাসেম এবং মনোয়ারা বেগম নামে তিন জন পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে আসেন। তাঁরা বনগাঁ শহরের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। সকলের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলা কোতোয়ালি থানার হাসপাতালপাড়া এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের তিন তলায় দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল পরিবারটি। একটি ঘরে আসমা এবং তাঁর মাসি মনোয়ারা ছিলেন। অন্য ঘরে কাসেম একা ছিলেন।
হোটেলের কর্মচারীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে হোটেলের ঘর থেকে নীচে নামতে দেখেছেন। পরে তাঁরা ঘরে উঠে যান। এরপরে কাসেম সকাল ৮টা নাগাদ হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত কাশেম না ফেরায় কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এক কর্মচারী হোটেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, কাসেমের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কাচের জানালা দিয়ে তিনি দেখেন, আশমা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে ঢুকে দেখে আশমা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। গলায় ওড়নার ফাঁস। পুলিশ মনোয়ারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।