অসীমকান্তি পাল
দিন দু’য়েক আগে গোপালনগরের সাতবেড়িয়া থেকে অসীমকান্তি পাল (৫১) নামে এক ব্যক্তির নলিকাটা দেহ মিলেছিল। মৃতের পকেটে ভিডিও ক্যামেরার একটি চিপ-এ পাওয়া মোবাইল নম্বর থেকে জানা গিয়েছিল তাঁর পরিচয়। অসীমকান্তিবাবুকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেফতার করল তাঁরই পরিচিত অসীম সরকার নামে এক যুবককে। তাঁর বাড়ি হরিণঘাটার দিঘোল গ্রামে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল অশোকনগরের চাঁদাবাজার থেকে বছর চব্বিশের অসীমকে গ্রেফতার করে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৬ লক্ষ টাকা দামের একটি ক্যামেরা হাতিয়ে নিতেই এই খুন।’’
অসীমকান্তিবাবু কলকাতায় টেলিফোন ভবনে সিনিয়র সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বাড়ি কলকাতার হরিদেবপুরে। তাঁর শখ ছিল ‘শর্ট ফিল্ম’ তৈরি করা। তাঁর পরিজনেদের দাবি, কয়েকটি বাংলা সিনেমাও প্রযোজনা করেছিলেন অসীমকান্তিবাবু।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ছ’মাস আগে অসীমের সঙ্গে অসীমকান্তিবাবুর পরিচয় হয়। মুর্শিদাবাদে একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ে তিনি অসীমকান্তিবাবুর সহকারী ক্যামেরাম্যান হিসাবে কাজও করেছিলেন। তখনই অসীমকান্তিবাবুর কাছে দামি ক্যামেরাটি দেখে সেটি হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটেন অসীম। পুলিশের দাবি, খুনের পরিকল্পনার পরে মোবাইলে একটি নতুন সিম ভরেছিলেন অসীম। সেই নম্বর থেকে অসীমকান্তির সঙ্গে কথা বলতেন।
পুলিশ জানায়, অসীমকান্তিবাবুকে বাংলাদেশের এক প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করাবেন বলে বনগাঁ ডেকে নিয়ে যান অসীম। শনিবার অফিস থেকে বেরিয়ে ট্রেনে বনগাঁ যান অসীমকান্তিবাবু। গোপালনগরের সাতবেড়িয়া স্টেশনের কাছে নিয়ে গিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে থাকা ক্যামেরাটি নিয়ে পালায় আততায়ী। কিন্তু এত দামি ক্যামেরা কেন সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন অসীমকান্তি? তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় অসীম জানিয়েছেন, আড়াই হাজার টাকা ভাড়ায় সেটি অসীমকান্তিবাবুর কাছ থেকে চেয়েছিলেন তিনি।