Mother Kills Son

নরেন্দ্রপুরে আট বছরের ছেলেকে খুন করে থানায় মা, স্থানীয়দের দাবি, মেরেছেন ছোট ছেলেকেও

অভিযুক্ত তনুজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:

অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে এলে পুলিশের উপর চড়াও হয়েছেন স্থানীয়েরা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

আট বছরের বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ছেলের মৃত্যুর পরে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তনুজা মণ্ডল নামে ওই মহিলা। সেখানে নিজের সন্তানকে খুন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। অভিযুক্ত তনুজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌ লিহাটির বাসিন্দা তনুজা। তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ মণ্ডল মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান। দু’বছর আগে তনুজার ছোট ছেলের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় তার বয়স ছিল দেড় বছর। স্থানীয়দের দাবি, তাকেও খুন করেছিলেন তনুজা। বড় ছেলে দেবজিৎ মণ্ডল স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

শনিবার সকালে প্রসেনজিৎ ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ছেলের সঙ্গে একাই ছিলেন তনুজা। সকাল ১০টা নাগাদ তাঁদের ঘরে আসেন প্রসেনজিতের মা। তিনি নাতিকে ডাকাডাকি শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রাবন্তী নস্কর জানিয়েছেন, সেই সময় বাড়িতে তনুজা ছিলেন না। শিশুটির ঠাকুমা প্রতিবেশীদের কাছেও খোঁজখবর শুরু করেন। ঠাকুমার ডাকাডাকি শুনে আসেন শিশুটির জেঠু তাপস মণ্ডল। তিনি ঘরের বন্ধ দরজা খুলে দেখেন, বিছানার উপর শুয়ে রয়েছে শিশুটি। তার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। তাপসের কথায়, ‘‘ঘর খুলে দেখি, দেবজিৎ শুয়ে রয়েছে। গায়ে কম্বল চাপা দেওয়া রয়েছে। সে সাড়া দিচ্ছে না। শরীর ঠান্ডা। গলায় ফাঁসের দাগ। ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া ছিল।’’

Advertisement

এর পরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাদের সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত তনুজা। তাঁকে দেখে স্থানীয়েরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শিশুটির মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। তনুজাকে মারধরের চেষ্টাও করেন। এর পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারে পুলিশ। তার পরে শিশুটির দেহ নিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement