Joynagar Murder

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার আরও তিন! ‘জামাইবাবু’র ফোনের সূত্র ধরে চেন্নাই থেকে পাকড়াও

১৩ নভেম্বর সকালে নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। ওই খুনের পরে সাহাবুদ্দিন শেখ নামে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়নগর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০১
Share:

মৃত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের মোবাইলের সূত্র ধরে চেন্নাই থেকে তাঁদের পাকড়াও করে জয়নগরে নিয়ে আসা হয়েছে। এই তিন জনের গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মোট ন’জনকে ধরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জাকির লস্কর, আফতাবউদ্দিন লস্কর এবং মুজিবর লস্কর। শুক্রবার ধৃত তিন ব্যক্তিকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

Advertisement

গত ১৩ নভেম্বর সকালে নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। তার অব্যবহিত পর অশান্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুইখাকি। তৃণমূল নেতা খুনের পরে সাহাবুদ্দিন শেখ নামে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন তাঁর এক সঙ্গী। ওই ঘটনায় ভাড়াটে খুনির তত্ত্ব উঠে আসে। গত তিন মাসে একের পর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, খুনের পরই অভিযুক্ত জাকির এবং আফতাব চেন্নাইয়ে পালিয়ে যান। খোঁজখবরের পর পুলিশ জানতে পারে আফতাবের এক জামাইবাবু চেন্নাইয়ে কাজ করেন। জাকির এবং আফতাব চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। আর এক অভিযুক্ত মুজিবর ঘটনার পর পরই রাঁচীতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে গ্রেফতার হন জাকির। জাকিরের সঙ্গে ছিলেন মুজিবরও। জাকিরকে পুলিশ পাকড়াও করার পর তিনি চেন্নাই পালিয়ে যান। এর পর ওই তিন জন চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

পুলিশের দাবি, ধৃত তিন জনই তৃণমূল নেতার খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাকির এবং আফতাব নামে দুই অভিযুক্ত খুনের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তবে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ন’জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও বেশ কয়েক জন অধরা। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনার পর থেকে কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। তবে আফতাবের জামাইবাবুর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও রাজমিস্ত্রির কাজ করে যে টাকাপয়সা পেয়েছিলেন, সম্প্রতি সেই টাকায় তিন জন নতুন মোবাইল কিনেছিলেন। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement