প্রতীকী ছবি।
বাড়ির দোতলার বারান্দায় লোহার খাঁচার মধ্যে কলা, আপেল, সঙ্গে খান কয়েক পরোটা রাখা হয়েছে। যদি বাঁদরটা লোভের বশে খেতে ঢুকে খাঁচা বন্দি হয়। আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে লোকজন হাতের কাছে মজুত রেখেছেন লোহার রড, দা-কাটারি। জয়নগরের-মজিলপুর পুরসভার মানুষ বাঁদরের আতঙ্কে জেরবার। ইতিমধ্যেই তার আক্রমণে জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
দিন পনেরো আগে ওই এলাকায় তিলিপাড়া মোড়ের পাশে রাস্তার ধারে একটি দোতলা বাড়ির ছাদে কার্নিসে বাঁদরটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন লোকজন। সপ্তাহখানেক আগে ওই বাড়ির বারান্দায় রাখা ফ্রিজ খুলে তছনছ করেছিল সে। সোমবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ লোডশেডিংয়ের সময়ে ঘরে ঢুকে রুটি, গোটা দশেক ডিম পেটে পুরেছে। বুঝতে পেরে মোবাইলের আলো জ্বালতেই এক লাফে বাইরে পালায় বাঁদরটি। পরে আবারও চেষ্টা করে ঘরে ঢোকার। তার তাড়া খেয়ে গৃহকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অরুণকুমার ধর পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন।
সাদা মুখ, ছোট লেজ, হাল্কা সোনালি লোমওয়ালা পশুটি রবিবার হানা দিয়েছিল পাশের পাড়ার চন্দন পালের বাড়িতে। তাঁর স্ত্রী ছাদে কাপড় শুকোতে দিতে যাওয়ার সময়ে মুখোমুখি পড়ে যান। কোনও মতে দুয়ার এঁটে রেহাই পেয়েছেন। জয়নগরের রক্তখানা পাড়াতেও বাড়ি বাড়ি ঢুকে উৎপাত করছে বাঁদরটি।
পুলিশ, বন দফতরে জানানো হয়েছে ঘটনা। বন দফতর সোমবার বিকেলে লোহার খাঁচা পেতে দিয়ে গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রের খবর, প্রাণীটি সম্ভবত দক্ষিণ ভারতের একটি প্রজাতির। সচরাচর এ রাজ্যে দেখা যায় না। ভিন রাজ্য থেকে মাল-বোঝাই ট্রাকে উঠে সম্ভবত এখানে এসে পড়েছে। কোনও সঙ্গী না থাকায় আরও মেজাজ হারাচ্ছে। বারুইপুরের রেঞ্জার গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও ভাবে বাগে আনা যাচ্ছে না। একাধিক জায়গায় খাঁচা পাতা হলেও টোপে মাথা গলায়নি। ঘুমপাড়ানির গুলি ব্যবহারের জন্য কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।’’