শেখ শাহজাহান এবং সুকুমার মাহাতো। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির এলাকায় এলাকায় যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। মানুষের ক্ষোভের কথা শুনছেন তাঁরা। তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো নিজেও মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। শনিবার সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বিধায়কের দাবি, শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগের কথা বলেননি। কয়েক জনের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি এ-ও জানান, ধৃত উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরা লিজ়ে বেশ কিছু জমি নেন। সেই টাকা তৃণমূলের কর্মীরা চাঁদা তুলে মেটাচ্ছেন। এটা দলের টাকা নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
সন্দেশখালির বিধায়কের কথায়, ‘‘আমি তিন দিন ধরে সন্দেশখালির পাড়ায় পাড়ায় গিয়েছি। কোথাও ‘ড্যামেজ’ নেই। সবাই বলেছে, ‘আমরা তৃণমূলের লোক। আমরা তৃণমূল করি।’ কারও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।’’ বিধায়কের সংযোজন, ‘‘কোনও ব্যক্তি অপরাধ করলে সেই ব্যক্তি তার সাজা পাবে।’’ অন্য দিকে, শাহজাহানের ভাই সিরাজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘ও এখন অঞ্চল সভাপতি নেই। সিরাজের কোনও পদ নেই তৃণমূলে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা কেউ বলেননি। শেখ শাহজাহান কোনও অপরাধ করেছেন, এটাও কেউ বলেননি। কেউ কেউ অন্যের মুখে শুনে কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু দুর্নীতির কোনও কথা আসেনি।’’
অন্য দিকে, শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দুই নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরার গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মতে, ওই দু’জন কিছু দোষ করে থাকলে সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে যে হেতু তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে, তাই দলের কয়েক জন মিলে দু’জন যে সব জমি-ভেড়ি লিজ়ে নিয়েছিলেন, তার টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। বিধায়ক বলেন, ‘‘উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরার যে লিজ়ের টাকা বাকি আছে, সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। কিছু দোকানে বাকি রয়েছে। আমরা তৃণমূলের কয়েক জন ব্যক্তিগত ভাবে চাঁদা তুলে ফিরিয়ে দিচ্ছি টাকা। কারণ এগুলো গরিবের টাকা।’’
শনিবার সন্দেশখালি গিয়েছেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও গিয়েছেন।