বড়জাহান মোল্লা।
বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে খোঁজ মেলেনি গত তিন দিন। পরে উদ্ধার হল ওই ব্যবসায়ীর পচাগলা দেহ।
বুধবার রাতে মগরাহাটের জালঘরা থেকে রেনায়েতপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তার মাঝে খালপাড় থেকে দেহটি মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম বড়জাহান মোল্লা (৪২)। বাড়ি ওই এলাকায় মোল্লারচক ঈশ্বরীপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী বড়জাহানের দর্জির দোকান আছে বাড়ির অদূরেই পাঁচঘরা মোড়ে। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে দোকানে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে ফেরেননি। পর দিন পরিবারের লোকজন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ-খবর করা শুরু হয়।
বুধবার রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। রাতেই পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পড়ে থাকা দেহের অদূর জলে ডুবে থাকা তাঁর মোটরবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় দড়ির প্যাঁচ লাগানো ছিল। হাত দু’টি পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। মুখের উপরে ঢাকা দেওয়া ছিল চটের বস্তা।
শান্ত মিশুকে স্বভাবের বড়জাহানকে কে বা কারা খুন করল, তা নিয়ে ধন্ধে পরিবার-পরিজন। ওই ব্যবসায়ীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ববিতা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘‘সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত না বাড়ি ফেরায় সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোন করেছিলাম। বাবার মোবাইল বন্ধ ছিল।’’ নিহতের স্ত্রী হাসনা বিবি মোল্লা জানান, প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। তবে কারা খুন করেছে আমরা জানি না। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করুক। কয়েকজন প্রতিবেশী জানালেন, বড়জাহান কোনও ঝুট-ঝামেলার মধ্যে থাকতেন না। নিজের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তবু এমন একজন মানুষকে কেন খুন হতে হল, বিস্মিত সকলেই। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জমি-সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন হয়ে থাকতে পারেন বড়জাহান। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল মর্গে।