মঙ্গলবার মেলা অফিসে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ, ও অন্যান্য বেশ কিছু দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রীও জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাসাগর মেলার দেরি নেই। ৪ জানুয়ারি এখানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মঙ্গলবার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। এ বারে ৮ জানুয়ারি থকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা চলবে।
মঙ্গলবার মেলা অফিসে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ, গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ (জিবিডিএ), জনস্বার্থ ও কারিগরি, পূর্ত দফতর, এবং সুন্দরবন জেলা পুলিশ ও অন্যান্য বেশ কিছু দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী ও জেলাশাসক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাকদ্বীপের লট নম্বর-৮ ঘাটে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন জেলাশাসক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মেলায় নজরদারি চালাতে থাকছে মেগা কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা। ১১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে চলবে কড়া নজরদারি। পুণ্যার্থীদের সহায়তায় থাকছেন সাগরবন্ধুরা। মেলায় ২২৫০টি সরকারি ও ৫০০টি বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৪টি বার্জ, ৩২ ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ থাকছে। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হবে ২১টি জেটি। সাগর মেলায় দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন থাকছে। মেলার সময় বাড়তি ট্রেনের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার গঙ্গাসাগর মেলায় ৩০ লক্ষ মানুষ আসতে পারেন আশা করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে, সাগর মেলার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সব দফতরই কাজ শুরু করে দিয়েছে।
অন্যদিকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেলায় সব ধরনের ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ভাঙনের কথা মাথায় রেখে বাঁধগুলি মেরামতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ৬ তারিখ কটাল থাকায় জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। তার আগে কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে।”